স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে মা ও মেয়েকে ধর্ষণের দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্ত দুই যুবক। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান উদ্দিন প্রধানের আদালতে তারা এ জবানবন্দি দেন। একইদিন নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন বিচারক।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চম্পক ধাম দৈনিক খোয়াইকে জানিয়েছেন, সোমবার বেলা ১২টা থেকে একটা পর্যন্ত ভিকটিম মা-মেয়ের জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত। এরপর দুপুর ১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত গণধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার শাকিল আহমেদ ও হারুন মিয়া তাদের অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন।
স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির বরাত দিয়ে পুলিশের এক কর্মকর্তা দৈনিক খোয়াইকে জানিয়েছেন, নির্যাতনের শিকার মা ও মেয়ে চুনারুঘাটের গরমছড়ি এলাকার বাসিন্দা। মেয়ে স্বামী পরিত্যক্তা। তার বাবাও মারা গেছেন। সেজন্য মা-মেয়ে দু’জনই শুধু বাড়িতে থাকতেন। বিষয়টি জানতে পেরে দু’জনকে ধর্ষণের পরিকল্পনা করেন তিন যুবক।
গত শুক্রবার রাত ৮টার দিকে পূর্ব পরিচিত একজনসহ কয়েকজন যুবক তাদের বাড়িতে এসে ডাকাডাকি করে। দরজা খুলে পূর্ব পরিচিত থাকার সুবাদে তিনজনই ঘরে বসে পান খান এবং মায়ের সাথে গল্প করেন। তখন মেয়ে তার ঘরে গান শুনছিলেন। কিছুক্ষণ পর সুযোগ বুঝে তিনজনের দু’জন মেয়ের কক্ষে গিয়ে লাইট বন্ধ করে তাকে ধর্ষণ করেন। আর অন্যজন ধর্ষণ করেন তার মাকে। পরে মেয়ের মোবাইল ফোনটি নিয়ে তিনজনই চলে যান।
এর পরদিন নির্যাতনের শিকার মেয়ে বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন। এরপর উপজেলার জিকধরছড়া এলাকার শফিক মিয়ার ছেলে শাকিল আহমেদ (২২) ও একই এলাকার রেজাক মিয়ার ছেলে হারুন মিয়াকে (২৫) গ্রেফতার করে পুলিশ। আরেকজনকে গ্রেফতারে অভিযান চলমান বলেও জানিয়েছেন ওসি চম্পক ধাম।