স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচংয়ে মর্তুজ আলী হত্যা মামলায় সাজার আদেশপ্রাপ্ত পাঁচ আসামি অবশেষে আদালতে ধরা দিয়েছেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়। গতকাল রবিবার হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ এবং সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহরিয়ার কবিরের আদালতে হাজির হলে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়।
আসামীরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের সামছু মিয়া, ইদু মিয়া, সিরাজ মিয়া, কাজল মিয়া ও চান মিয়া। একই মামলায় দন্ডাদেশপ্রাপ্ত অপর আসামিরা পলাতক রয়েছেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, পাথারিয়া গ্রামের বাসিন্দা জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি কুহিনুর আলম এবং আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার মধ্যে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে ২০১১ সালে দুই পক্ষের সংঘর্ষে সিফাই মিয়া নিহত হন।
একই সঙ্গে গুরুতর আহত মর্তুজ আলী চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনার দুইদিন পর মারা যান। এ ঘটনায় সিফাই মিয়ার ছেলে তাজুল ইসলাম বাদী হয়ে বানিয়াচং থানায় একটি মামলা করেন। মামলায় কুহিনুর আলমসহ ৪৮ জনকে আসামি করা হয়। মামলাটি সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য স্থানান্তর করা হয়। পরে আদালত আসামিদের খালাস দেন। পরবর্তীতে বাদীপক্ষ হাইকোর্টে আপিল করলে ১০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেয়া হয়। এর মধ্যে কুহিনুর আলমসহ চারজনকে যাবজ্জীবন এবং ছয়জনকে ১০ বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। এর প্রেক্ষিতে উল্লেখিত পাঁচজন আদালতে হাজির হলে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।