স্টাফ রিপোর্টার ॥ গুণগত মানের সনদ গ্রহণ না করেই স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) মনোগ্রাম ব্যবহারের মাধ্যমে নিচুমানের চা পাতা বিক্রি করে আসছে অসাধু ব্যবসায়ীরা। ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগে চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে মোড়কে পন্য পাওয়া গেলেও বাস্তবে প্রতিষ্ঠানগুলোর অস্তিত্ব মেলেনি।
বিএসটিআই সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ রুহুল আমীন এক সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই চারটি প্রতিষ্ঠানের নামে অবৈধভাবে বিএসটিআই’র মানচিহ্ন সংবলিত মানচিহ্ন ব্যবহারের মাধ্যমে নিচুমানের ব্ল্যাক টি পরিলক্ষিত হচ্ছে। অথচ তারা বিএসটিআই’র মান সনদ গ্রহণ করেনি। মোড়কে উল্লিখিত ঠিকানায় এসব প্রতিষ্ঠানের অস্তিত্বও খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অসাধু ব্যবসায়ীরা গোপনে ও চোরাইপথে বৈধ কাগজপত্র ছাড়া অখ্যাত ছাপাখানা হতে মোড়ক ছাপিয়ে পন্য বাজারজাত করছে। যা সরকারি আইনের সুষ্পষ্ট লঙ্ঘন এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এ ব্যাপারে ভোক্তাগণকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানান বিএসটিআই’র এ কর্মকর্তা। হবিগঞ্জ জেলায় এধরনের পণ্যে বাজার সয়লাবের অভিযোগ রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।
অস্তিÍত্বহীন এই প্রতিষ্ঠানগুলো হল- ঢাকার কদমতলীতে সুমাইয়া কনজ্যুমার প্রোডক্টসের ‘কিং টি’, শ্রীমঙ্গলের তাসিন টি হাউসের টাটকা ‘ব্ল্যাক টি’, ঢাকার শাহজালাল ফুড প্রোডক্টসের ‘সিলেটের গোল্ড টি’ এবং চট্টগ্রামের শাহজালাল ফুড প্রোডাক্টসের মিয়াজীপুর ‘ব্ল্যাক টি’।