সহকর্মীদের পাশে থাকার উদাহরণ সৃষ্টি করেছে কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা

শেষ পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুর উপজেলার গোপালপুর কমিউনিটি ক্লিনিকের কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার ছিলেন শান্তা সাহা। ¯œাতক সম্পন্ন করার পর তার বিয়ে হয়েছিল উপজেলার আদাঐর গ্রামের ব্যবসায়ী মিঠু লাল চৌধুরীর সাথে। নিজের লেখাপড়া থাকায় পরিবারের স্বচ্ছলতার জন্য ৯ বছর পূর্বে যোগদান করেছিলেন ওই চাকুরীতে। সংসারে তার ১০ বছর এবং ৫ বছরের দুটি শিশু। সুখেই চলছিল তার সংসার। কিন্তু গত ১৫ মে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনা প্রাণ কেড়ে নেয় তার। চাকুরী রাজস্ব খাতে না যাওয়ায় তার পরিবার পায়নি কোন সুযোগ সুবিধা। কিন্তু তার অসহায় দুটি শিশুর কথা চিন্তা করে শান্তার সহকর্মীরা উদ্যোগ নেন তার পরিবারের পাশে থাকার। হবিগঞ্জ জেলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ সহকর্মীদেরকে আহবান জানান শান্তার পাশে থাকার জন্য। তার এই আহবানে সকল কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডাররা সামর্থ অনুযায়ী সহযোগিতার হাত বাড়ান। তহবিলে জমা হয় ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। শুধু হবিগঞ্জ নয়, দেশের বিভিন্ন জেলা থেকেও আসে সহায়তা।
গত শুক্রবার দুপুরে হবিগঞ্জ পৌর মিলনায়তনে সিএইচসিপি হবিগঞ্জ জেলা শাখার এক অনুষ্ঠানে শান্তা সাহার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয় এই টাকা। হবিগঞ্জ প্রিমিয়ার ব্যাংকে শান্তা সাহার দুই কন্যা আদ্রিজা রায় চৌধুরী ও মেঘ দিপা রায় চৌধুরীর নামে ফিক্সড ডিপোজিট করা হয় এই টাকা। প্রধান অতিথি হিসাবে ডিপোজিটের চেকের রেপ্লিকা তুলে দেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির।
হবিগঞ্জ জেলা সিএইচসিপি এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুর রশিদ এর সভাপতিত্বে এবং শামিমা শারমিন শিখা ও সুলতান আহমেদ মারুফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন, হবিগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মুখলেছুর রহমান উজ্জল, সিভিল সার্জন অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শাহ আলম।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *