স্টাফ রিপোটার ॥ জলাবদ্ধতায় নাকাল হবিগঞ্জ পৌরসভা। এর মধ্যে পৌরসভার বর্জ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাল ভরাটে উদ্বেগ প্রকাশ করেন বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিল। গতকাল শনিবার বিকালে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এর একটি প্রতিনিধিদল হবিগঞ্জ আধুুনিক স্টেডিয়াম সংলগ্ন খালে পৌরসভার স্তুপকৃত বর্জ্য পরিদর্শন করে। বাপা কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ জামিলের নেতৃত্বে পরিদর্শন কালে উপস্থিত ছিলেন বাপা আজীবন সদস্য শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল, বাপা সদস্য ডাক্তার আলী হাসান চৌধুরী পিন্টু ও মোহাম্মদ আবদুর রহমান। প্রতিনিধিদল পরিদর্শনকালে দেখেন, আধুনিক স্টেডিয়াম এবং কিবরিয়া মিলনায়তনের পাশে বাইপাস খাল ভরাট করে পৌরসভার যাবতীয় বর্জ্যউন্মুক্ত অবস্থায় স্তুপ করে রাখা হয়েছে। এতে সরকারি বৃন্দাবন কলেজ, আনসার একাডেমিসহ আশপাশের বৃহৎ এলাকা মারাত্মক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে জন চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
শরীফ জামিল বলেন, এক পশলা বৃষ্টিতে হবিগঞ্জ শহর জলাবদ্ধতায় নিমজ্জিত হওয়ার কারণে অবিলম্বে পুরাতন খোয়াই নদীসহ সকল খাল পুকুর-জলাশয় পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ করা জরুরি। কিন্তু দেশের একটি প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হিসেবে উল্টো খাল ভরাট ও বর্জ্য অব্যবস্থাপনা বাস্তব দুর্গতির পরিচয় বহন করে। তিনি স্থানীয় পর্যায়ে জনসম্পৃক্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের পাশাপাশি জাতীয় নীতি নির্ধারণী মহলে দেশের পৌর এলাকা সমূহের বাসযোগ্য টেকসই ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতে নীতি, কাঠামো ও অর্থায়নে সমন্বিত বিজ্ঞানভিত্তিক ও স্বচ্ছ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
অধ্যাপক ড. জহিরুল হক শাকিল বলেন, পৌরসভার অনেক কাজের মধ্যে অন্যতম প্রধান কাজ হলো সুষ্ঠ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পয়ঃনিষ্কাশনের মাধ্যমে পরিবেশ নির্মল রাখা। পৌরসভাকে সকলের জন্য বাসযোগ্য করা। কিন্তু হবিগঞ্জ পৌরসভা সেটা এখনও করতে সক্ষম হয় নি। মানুষ পৌরসভা বা পৌর কর্তৃপক্ষ থেকে বেশি কিছু চায় না। চায় শুধু নির্মল পরিবেশে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে। যা নিশ্চিত করার সক্ষমতা হবিগঞ্জ পৌরসভার রয়েছে। তারপরও বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান ডাম্পিং স্টেশনের উদ্যোগ গ্রহন করেছেন বলে পত্রিকায় সংবাদ দেখে কিছুটা আশাবাদি। অচিরেই এর বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
