কাজী মাহমুদুল হক সুজন, চুনারুঘাট থেকে ॥ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণের ফলে খোয়াই ও সুতাং নদীর পানি বেড়ে চুনারুঘাট উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
গতকাল সারাদিনে বর্ষণের কারণে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নির্মাঞ্চল প্লাবিত হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আকস্মিক বন্যায় বেশকিছু আউশ ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। গাজীপুর, মিরাশি, রানীগাঁও, সাটিয়াজুরী ও শানখলা ইউনিয়নের প্রায় ৫০টি গ্রামে পানি ঢুকেছে। এ অবস্থায় গ্রামগুলোর মানুষ মারাত্মক কষ্ট ভোগ করছেন।
গতকাল সোমবার দুপুরে খোয়াই নদীর চুনারুঘাট ব্রীজ পয়েন্টে বিপদসীমার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়া করাঙ্গী ও সুতাং নদীর পানিও হু হু করে বাড়ছে। এসব নদীর বাঁধ উপচে নদী এলাকায় জমির ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে।
হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসনাইন মাহমুদ বলেন, “ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যে ভারী বর্ষণ হওয়ার কারণে চুনারুঘাট এলাকায় খোয়াই নদীতে পানি বাড়ছে। পানি বৃদ্ধির পরিমাণ আশঙ্কাজনক। বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।
এদিকে, গতকাল দুপুরে সাটিয়াজুরী ও রানীগাঁও ইউনিয়নে গিয়ে দেখা যায়, বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি ঢুকেছে। ফসলি জমিসহ পুকুর তলিয়ে গেছে।
করাঙ্গী নদীর দু’পাড় বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কুনাউড়া, কৃষ্ণপুর, চিলামি, দৌলতপুর ও দারাগাঁওসহ ৭/৮ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীদের স্কুল-কলেজে যাওয়া বন্ধ।
শানখলা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম জানান, তাঁর ইউনিয়নে পাহাড়ি ঢলে ও সুতাং নদীর পানি উপচে ৭/৮ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
সাটিয়াজুরী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দালুর রহমান জানান, করাঙ্গী নদীর দুপাড়ে ১০/১২ টি গ্রাম সম্পুর্ণ প্লাবিত হয়েছে। ছাত্রছাত্রীরা স্কুল-কলেজে যেতে পারছে না।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, তিনি বেশ কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেছেন। বন্যার সার্বক্ষনিক খবর রাখতে ও ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করতে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।