ফুলবানুরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় উপকৃত

শেষ পাতা

মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ বিভিন্ন রোগ নিরাময়ে বৃদ্ধা ফলবানু’র যাতায়াত আছে শায়েস্তাগঞ্জের নিশাপট কমিউনিটি ক্লিনিকে। একইভাবে ক্লিনিকটিতে ওষুধ নিতে আসেন জহুরা খাতুন(৫০), সুফিয়া খাতুন(৫৪), জাহেরা খাতুন(৫৫) ও মুখলিছ মিয়া (৫০)সহ গ্রামের লোকজন।
সপ্তাহে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত এ ক্লিনিক চালু থাকে। ক্লিনিকে নিয়মিত দায়িত্ব পালন করছেন কমিউনিটি হেলথ কেয়ার প্রোভাইডার (সিএইচসিপি) সুমাইয়া। তিনি ছাড়াও আরো দুই স্বাস্থ্যকর্মী আছেন। তারা সপ্তাহে তিনদিন মাঠে ও বাকী তিনদিন ক্লিনিকে দায়িত্ব পালন করেন।
জ্বর, সর্দি, পেটের পিড়া, কাশি, ডায়রিয়া, আমাশয়, মাতৃস্বাস্থ্য ও শিশুস্বাস্থ্যসহ বিভিন্ন রোগের জন্য ২৯ প্রকারের সরকারী ওষুধ বিনামূল্যে দেওয়া হয়। ক্লিনিকটি থেকে প্রায় ৬ হাজার লোকের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করা হচ্ছে। ফুলবানুদের ন্যায় গ্রামের লোকজন এসে সেবা গ্রহণ করছেন। গ্রামে বসে সেবা পেয়ে তারা খুশি। সিএইচসিপি সুমাইয়ার সাথে কথা বলে এসব জানা গেছে।
রোগী জহুরা খাতুন (৫০) বলেন, এখানে চমৎকার সেবা পাওয়া যাচ্ছে। আমাশয়, জ্বর, পেটব্যথা ওষুধ নিয়ে তিনি সুফল পেয়েছেন। সেবা নিতে টাকা দিতে হয় না। বিনামূল্যে ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরণের স্বাস্থ্য সেবার ব্যবস্থা করায় তিনি সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তার ন্যায় গ্রামবাসীও এ ক্লিনিকের সেবার পেয়ে উপকৃত।
সিএইচসিপি সুমাইয়া বলেন, বর্তমান করোনা ভাইরাস পরিস্থিতির মাঝেও সরকারী নির্দেশনা অনুযায়ী সেবা প্রদান করছি। লোকজনও নিয়মিত এখানে এসে সেবা গ্রহণ করে সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছেন।
শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সাদ্দাম হোসেন বলেন, নিশাপট কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রমে রোগীদের উপকার হচ্ছে। এ ক্লিনিক প্রায়ই পরিদর্শন করা হয়। একইভাবে বাকী ৫টি ক্লিনিকেও একই ধরণের সেবা প্রদান করা হয়ে থাকে।

শেয়ার করুন

1 thought on “ফুলবানুরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবায় উপকৃত

  1. কমিউনিটি ক্লিনিক বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ।
    কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোতে বিএমডিসি রেজিস্ট্রার্ড চিকিৎসক (MBBS-মেডিকেল অফিসার বা DMF-উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) নিয়োগ দিয়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *