স্টাফ রিপোর্টার ॥ স্থায়ী ক্যাম্পাস, শিক্ষক উপস্থিতি নিশ্চিত, ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধকরণ, আবাসন ও যাতায়াত সুবিধাসহ আট দফা দাবিতে হবিগঞ্জ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে।
গতকাল রবিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালের সামনে তারা বিক্ষোভ করে। তখন থেকে পরবর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে দাবি আদায় না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুশিয়ারি দেওয়া হয়। সেখানে শিক্ষার্থী ইয়াসিন আরাফাত রিংকু, কাওসার আহমেদ ও সৈয়দা তানজিম সুচী বক্তব্য রাখেন।
তাঁরা জানান, শেখ হাসিনা মেডিকেল ২০১৫ সালে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রশাসনিক অনুমোদন পেলেও একাডেমিক ভবন না থাকায় সে বছর ভর্তি করা সম্ভব হয়নি। হাসপাতালের আড়াইশ’ শয্যা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অস্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপন করে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে ৫১ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়।
তারা আরও জানায়, কলেজে ৬টি সেশনের জন্য মাত্র ৪টি শ্রেণিকক্ষ আছে। ফলে পাঠদানে ব্যাঘাত ঘটছে। একটি সেশনে ৫০ জন শিক্ষার্থী ভর্তির নিয়ম থাকলেও গত সেশনে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১০০ জন ভর্তি করা হয়। এসব সমস্যা সমাধানের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়েছে।
ছাত্র আন্দোলনের আট দফা:
প্রত্যেকটি ব্যাচের জন্য পরিপূর্ণ সুযোগ-সুবিধাসহ শ্রেণিকক্ষের ব্যবস্থা, স্থায়ী ক্যাম্পাসের রূপরেখা প্রণয়ন করে তা শিক্ষার্থীদের সামনে উপস্থাপন করা; অধ্যয়নরত প্রত্যেকের জন্য আবাসন ও মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করা; শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অন্যান্য কর্মকর্তাদের সকল প্রকার রাজনীতি নিষিদ্ধ সংক্রান্ত নোটিশ জারী করা; প্রত্যেকটি বিভাগে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগের জন্য জরুরি পদক্ষেপ ও শিক্ষকের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিত করা; ভবনের সপ্তম তলায় অপারেশন থিয়েটার, স্টেরিলাইজেশন, পোস্ট অপারেটিভ কেয়ার ও আইসিইউয়ের কাজ দ্রুততম সময়ে নিষ্পত্তি করা; শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় ভিসেরা, ক্যাডেভার ও ক্লিনিক্যাল ক্লাসের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডামি হালনাগাদ করা; গত দুই অর্থবছরের প্রাপ্ত বাজেট শিক্ষার্থীদের সামনে প্রদর্শন করা এবং এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নেওয়া ভর্তি ফি ও পরীক্ষা ফি’র হিসেব প্রকাশ করা; শিক্ষার্থীদের ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা; ধর্মীয় স্বাধীনতায় ব্যাঘাত সৃষ্টিকারীদের বিপক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ ও শিক্ষার্থীদের জন্য বাধ্যতামূলক কেবিনের ব্যবস্থা করা এবং বৈশ্বিক মেডিকেল কলেজের তালিকায় হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজকে অন্তর্ভুক্ত করতে শিগগিরই পদক্ষেপ গ্রহণ।