মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ নবীগঞ্জে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে এসে গনপিটুনিতে জখম পাহাড়ি বানরটি সুস্থ হওয়ায় অবমুক্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে বানরটিকে চুনারুঘাটের সাতছড়ির বনে অবমুক্ত করা হয়। হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ফরেস্টার তোফায়েল আহমেদ চৌধুরী এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বানরটির পরিচর্যা করেছেন। আঘাতে ডান চোখের উপরের দিকে মাথার খুলি ও বাম হাত ফেটে গিয়েছিল। আহত বানরের শারীরিক অবস্থা এবং আচরণের উন্নতি হওয়ায় অবমুক্ত করা হলো।
এর আগে গত ১৭ আগস্ট খাবারের সন্ধানে বানরটি নবীগঞ্জ উপজেলার বড়চর এলাকার লোকালয়ে আসে। তখন কিছু লোক এটিকে পিটিয়ে জখম করে। পরে শায়েস্তাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক জাকির হোসেন নিজের বাড়িতে এনে খাবার খাওয়ানোর পর ওইদিনই বানরটিকে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেন। বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করানো হয়। শুরুর দিকে আহত বানরের আচরণ অস্বাভাবিক ছিল। বানর অবমুক্তকালে হবিগঞ্জ বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অধিদপ্তর এবং সাতছড়ি বন্যপ্রাণী রেঞ্জের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, জেলার নবীগঞ্জ, বাহুবল, মাধবপুর ও চুনারুঘাট উপজেলার পাহাড়ি এলাকায় এখনও প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার বানর রয়েছে।