জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৫নং গোপায়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য জাবেদ হাসান ওরফে রজব আলীকে (৩৫) কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি করে ফেসবুকে পোষ্টকারীদের সমর্থন করায় তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। সে নারায়ণপুর গ্রামের মর্তুজ আলীর পুত্র। এ মামলার অন্যান্য আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বিশিষ্ট আলেম আল্লামা আব্দুর রহমান দীঘলবাগী হুজুরকে নিয়ে সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করে আলমগীর নামের এক যুবক। এ ঘটনায় জেলাজুড়ে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। প্রতিবাদ সমাবেশ করেন দীঘলবাগী হুজুরের ভক্তবৃন্দ। পরবর্তীতে এই প্রতিবাদ সমাবেশকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করেন আলমগীরের ভাই জাহাঙ্গীর। আলমগীর ও জাহাঙ্গীর সম্পর্কে রজব আলী মেম্বারের বোনের ছেলে। রজব আলী মেম্বারের এ ঘটনার প্রতিবাদ না করে বরং আসামীদের পক্ষালম্বন করে মিটিং করেন। এরই প্রেক্ষিতে ওই গ্রামের আবু বকর বাদি হয়ে মামলা করেন।
এ বিষয়ে মেম্বার রজব আলী জানান, তিনি জনপ্রিয় একজন মেম্বার। এলাকায় জুয়া ও মাদক বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ গড়ে তুলায় তাকে ওই মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় তাকে গত বুধবার রাতে তাকে শায়েস্তানগর বাজার আটক করা হয়। পুলিশ জানায় মামলার অপর আসামিদের সাথে রজব আলীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যাচাই বাছাই চলছে। পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেয়া হবে।