স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং থানা থেকে লুটে নেওয়া অস্ত্রগুলোর মধ্যে দুইটি এসএমজি ও পিস্তল উদ্ধার হয়নি। এ থানার ৬ থেকে ৭শ’ রাউন্ড গোলাবারুদ এখনও উদ্ধারের বাকী। তবে লুটে নেওয়া অস্ত্র গোলাবারুদের মধ্যে ১৬ আগস্ট ৬৬ রাউন্ড ও ২০ আগস্ট ৪১ রাউন্ড বন্দুকের গুলি উদ্ধারের খবর দিয়েছে পুলিশ।
গতকাল বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, থানার সব অস্ত্র ও গুলাবারুদ লুট হয়েছিল। এর মধ্য থেকে একটি এসএমজি, একটি পিস্তল ও ৬ থেকে ৭শ’ রাউন্ড গোলাবারুদ এখনও উদ্ধারের বাকী।
প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট সকাল ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী ৪/৫ হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাসের শেল, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হন।
তখন চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। মোট মৃতের সংখ্যা হয় আট। এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপপরিদর্শক সন্তোষকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে। পরদিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
এদিন বানিয়াচং থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগ হওয়ার পর থানাটি পুলিশশূন্য হয়ে পড়লে লুটপাট করা হয়। পরে বিভিন্ন থানা থেকে পুলিশের অস্ত্র খোয়া গেছে উল্লেখ করে কারও কাছে কোনো অস্ত্র থাকলে তা ফেরত দেওয়ার আহ্বান জানায় সেনাবাহিনী। গতকাল অস্ত্র জমা দেওয়ার শেষ সুযোগ ছিল। এখন কারও কাছে অস্ত্র পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।