স্টাফ রির্পোটার ॥ হবিগঞ্জে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সমন্বিত খামার গড়ে তুলেছেন মোঃ ওবায়দুর রহমান। খামারের নাম রহমান এগ্রো। তিনি তার খামারে হাঁস ও মুরগী প্রতিপালন, মাছ চাষ, সবজি ও বিভিন্ন জাতের ফলমূলের গাছ লাগিয়েছেন। ইতিমধ্যে তার এই সফলতার জন্য জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ খামারী হিসেবে হবিগঞ্জ থেকে মনোনীত হয়েছেন। মোঃ ওবায়দুর রহমান সদর উপজেলার গোপায়া ইউনিয়নের যাত্রাবাড়ী এলাকার সাইদুর রহমানের ছেলে। খামারের পাশাপাশি তিনি আইন পেশায় নিয়োজিত।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর থেকে ৩মাসের প্রশিক্ষণ নিয়ে ২০১৯ সালে ওবায়দুর এই খামারটি শুরু করেন। ১শ’ ৯৭ শতক জায়গা নিয়ে গড়ে উঠা খামারে প্রায় শতাধিক হাঁস, মোরগ ও গরু ছাড়াও রয়েছে মাছ চাষের পুকুর। পুকুর পাড়ে লাগিয়েছেন বিভিন্ন প্রজাতির ফলমূল ও শাকসবজির গাছ।
ওবায়দুর রহমান জানান, তিনি এই খামার থেকে মাসে প্রায় লক্ষাধিক টাকা আয় করেন। তার খামারে আরো ৮ জন লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। একটি খামারের কারণে আরো ৮টি পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি আইন পেশার পাশাপাশি নিজে নিয়মিত খামার দেখাশুনা করেন। তার এই সফলতায় এলাকার বেশ কিছু যুবক সমন্বিত খামার তৈরীতে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। ইতিমধ্যে ১২জন তরুণ নিজেরা খামার গড়ে তুলেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি চাই তরুণরা প্রশিক্ষিত হয়ে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবে। তাছাড়া যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর অত্যন্ত সময় উপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। এজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই। এসব প্রশিক্ষণ নিয়ে যেকোন তরুণ তার স্বপ্ন পূরনের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বির্নিমাণে অবদান রাখতে পারবে।