মানুষের মৌলিক চাহিদার মধ্যে খাদ্য একটি প্রধান ও অন্যতম মৌলিক চাহিদা। জীবন ধারণের জন্য ভেজালমুক্ত খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রতিটি মানুষের প্রয়োজন বিশুদ্ধ ও পুষ্টিকর খাদ্য। পাশাপাশি বিশুদ্ধ খাদ্য সুস্থ ও সমৃদ্ধশালী জাতি গঠনে অপরিহার্য। কিন্তু দিন যতই যাচ্ছে, দেশে বিশুদ্ধ খাবার প্রাপ্তি কঠিন করে ফেলছে কিছু বিবেকহীন ব্যবসায়ী ও আড়তদার। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীও এদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে।
এ সকল ব্যবসায়ী অতি মুনাফা লাভের আশায় খাদ্যে ভেজাল মেশান যা জনস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। অথচ শুধু মাত্র ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে প্রতি বছর প্রায় ৩ লাখ লোক ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৫০ হাজার, কিডনি রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ। এ ছাড়া গর্ভবতী মায়ের শারীরিক জটিলতাসহ গর্ভজাত বিকলাঙ্গ শিশুর সংখ্যা দেশে প্রায় ১৫ লাখ। হবিগঞ্জে গত কয়েক বছরে গড়ে উঠেছে অসংখ্য বেকারি ও মিষ্টির দোকান। অভিযোগ আছে উৎপাদন ব্যয় কমাতে এসব দোকানগুলোতে খাদ্যপণ্যে ভেজাল আটা, ময়দা, ডালডা, তেল, পচা ডিমসহ নি¤œমানের বিভিন্ন উপকরণ ব্যবহার করা হয়। মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ঝটিকা অভিযানে জরিমানা ও কারাদন্ড হলেও ভেজাল পন্যের ব্যবহার বন্ধ করা যাচ্ছে না। আমরা মনে করি খাদ্যে ভেজাল বন্ধে আইনের কঠোর প্রয়োগ নিশ্চিতে সরকার ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। পাশাপাশি জনগণকে ভেজাল খাদ্য ক্রয় ও খাওয়া থেকে বিরত থাকতে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।