স্টাফ রিপোর্টার ॥ ঘুষ নিয়ে আটক ব্যক্তিকে হাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেনকে অপসারণ করা হয়েছে। হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা গতকাল শনিবার তাকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করেন। এ বিষয়ে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন দৈনিক খোয়াইকে জানিয়েছেন, ওসি মোজাম্মেলের বিরুদ্ধে ঘুষ নিয়ে আটক ব্যক্তিকে থানা হাজত থেকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাই তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়।
তিনি আরো জানান, এ বিষয়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তারা আজ রবিবার প্রতিবেদন জমা দিবেন। প্রতিবেদন পেলে সিলেট পুলিশের উপ মহা পরিদর্শক (ডিআইজি) ও হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে হবিগঞ্জ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন আরেক কর্মকর্তা দৈনিক খোয়াইকে জানিয়েছেন, ১৪ সেপ্টেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ রেল ক্রসিংয়ের চেকপোস্ট থেকে আরএফএল বেস্ট বাই’র ম্যানেজার লুৎফুর রহমানকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন একজন উপ পরিদর্শক (এসআই)। পরে তাকে পাঁচ ঘন্টা হাজতে রেখে ঘুষ গ্রহণের পর ছেড়ে দিয়েছিলেন ওসি মোজাম্মেল।
এরপর ভুক্তভোগী লুৎফুর হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগটি প্রমাণিত হয়েছে। একই ঘটনায় শায়েস্তাগঞ্জ থানার এক সাব ইন্সপেক্টর ও তিন কনস্টেবলকেও প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে এই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।