মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ আইনের কাছে চুনারুঘাটে চা শ্রমিক কন্যা স্কুলছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সঠিক তদন্ত দাবী করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সরেজমিনে গেলে উপজেলার নালুয়া বাগানবাসী সাংবাদিকদের এ দাবীর কথা জানান। নির্যাতনের শিকার চা শ্রমিক কন্যাটি মৌলভীবাজারের কুলাউড়া ডানকান ব্রাদার্স ফাউন্ডেশন আবাসিক উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও নালুয়া চা বাগান এলাকার বাসিন্দা।
আলাপকালে বাগানের বাসিন্দা আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড মেম্বার নটবর রুদ্র পাল বলেন, এ ঘটনা আমাকে জানানো হয়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর। পরে স্কুলছাত্রীর বড় বোন গত মঙ্গলবার রাতে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি আইনের হাতে। আমরা আইনের কাছে দাবী করছি এ ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত। এ তদন্তে দোষী ব্যক্তিদের বিচার হোক। তার সাথে সুর মেলান শিক্ষক হরেন্দ্র উরাং, সাবেক সেনা সদস্য দেবদাস উরাংসহ আরো অনেকেই। এ ঘটনার সঠিক তদন্তের স্বার্থে বাগানে পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও সাংবাদিকদের পদচারণা লক্ষ্য করা গেছে।
স্কুল ছাত্রীর পরিবার থেকে জানানো হয়, ১১ সেপ্টেম্বর লেখাপড়ার কথা বলে বাগানের পূব টিলার একটি ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করেন বিমান বাহিনীর সদস্য খোকন। ধর্ষণে সহযোগিতা করেছিলেন সেনা সদস্য বিশ্বজিৎ। এরপর স্কুলছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে দুইদিন ভর্তি রেখে চিকিৎসা করানো হয়। বাধ্য হয়ে সুবিচারের জন্য তারা মামলা করেন। এ ঘটনায় সুবিচারের জন্য তারা আইনের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এ মামলায় আসামীরা হলেন, উপজেলার নালুয়া চা বাগান এলাকার মৃত নিবারন ভৌমিকের ছেলে বিমান বাহিনীর সদস্য খোকন ভৌমিক (২৫), একই এলাকার মৃত সাগর ভৌমিকের ছেলে সেনা বাহিনী সদস্য বিশ্বজিৎ ভৌমিক (২৪)।
আসামী বিশ্বজিৎ ভৌমিকের স্ত্রী তারা ভৌমিক বলেন, তার স্বামী এ কাজ করেননি। তিনি ভাল মানুষ। এটা গভীর ষড়যন্ত্র। এর সুষ্ঠ তদন্তে তার স্বামী মুক্তি পাবে।
খোকন ভৌমিকের মা শীলা ভৌমিক বলেন, তার ছেলে এসব কাজে জড়িত থাকার প্রমাণ কেউ দেখাতে পারবে না। এ ব্যাপারে সঠিক তদন্ত হলে প্রকৃত বিষয় বের হয়ে আসবে।
চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চম্পক ধাম জানান, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এসআই আজহার বিষয়টির প্রতি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছেন। যেহেতু আসামীদের দুইজন বিমানবাহিনী ও সেনাবাহিনীর সদস্য। তাই এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে চিঠি পাঠানোর প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। তাদেরকে যেন পুলিশে সোপর্দ করা হয়।