স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক মেয়র জি কে গউছকে কারাগারের ভিতর ছুরিকাঘাতকারী অটোরিকশাচালক ইলিয়াছ মিয়া ওরফে ছোটনকে অন্য আরেকটি হত্যা মামলায় মৃত্যুদন্ড দেওয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আজিজুল হক আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকরের আদেশ দেন। সাথে ৫ লক্ষ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাদন্ড দেওয়া হয়।
জি কে গউছকে কারাগারের ভিতর ছুরিকাঘাতের মামলায় ২০২৩ সালে ইলিয়াছ দেড় বছরের সাজার আদেশপ্রাপ্ত হন; সোমবার হত্যা মামলার রায় ঘোষণার সময় তাকে কারাগার থেকে আদালতে এনে উপস্থিত করা হয়েছে। ইলিয়াছ মিয়া শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দাউদনগর গ্রামে সালেহ আহাম্মদ কনার ছেলে।
আদালতের পেশকার বাবলু আহমেদ হত্যা মামলার বরাতে জানান, ইলিয়াছ ২০১১ সালের ১৬ এপ্রিল বাহুবল উপজেলায় অটোরিকশাচালক আব্দুল্লাহ মিয়াকে ভাড়া নিয়ে ঝগড়ার জেরে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেন। খুন হওয়া আব্দুল্লাহ বাহুবলে ইসলামবাগ গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত ব্যক্তির ভাই ইলিয়াছের বিরুদ্ধে বাহুবল মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে ইলিয়াছ আদালতে দেওয়া জবানবন্দিতে হত্যার দায়ে স্বীকারোক্তি দিয়েছিলেন। মামলায় ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত রায় ঘোষণা করেছেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালেহ উদ্দিন ও পারভীন আক্তার জানান, রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট, ন্যায় বিচার নিশ্চিত হয়েছে।
এদিকে, ইলিয়াছ শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় আলোচিত সুজন হত্যাসহ আরও কয়েকটি মামলার আসামী। কিছুদিন ভারতে পালিয়ে থাকার পর দেশে ফিরে গ্রেপ্তার হন।
২০১৫ সালে হবিগঞ্জ জেলা কারাগারের ভিতর ঈদুল আযহার নামাজ শেষে পৌরসভার সাবেক মেয়র ও কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গউছকে ছুরিকাঘাত করেন। ইলিয়াছ ২০১৬ সালে জামিনে মুক্ত হয়ে শতাধিক মাইক্রোবাস ও অ্যাম্বুলেন্সসহ জেলা জজ আদালতে মিছিল নিয়ে আসলে এ ঘটনায় আরও একটি মামলা দায়ের হয়। ছুরিকাঘাত মামলায় গত বছরের ২৩ জুলাই আদালত ইলিয়াছকে দেড় বছর কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছিলেন।