তথ্য বাতায়নে নবীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আলমগীর চৌধুরী

প্রথম পাতা

মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার জন্য সরকার প্রতিটি জেলার তথ্য দিয়ে জাতীয় তথ্য বাতায়ন ওয়েবসাইট তৈরি করেছে। সেখান থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে কাজে লাগাবেন নাগরিকেরা। কিন্তু নবীগঞ্জ উপজেলা তথ্য বাতায়নের ওয়েবসাইটে সঠিক তথ্য মিলছে না। এটি করা হচ্ছে না হালনাগাদ। এতে নাগরিকেরা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ‘আমাদের সর্ম্পকে’ ক্যাটাগরিতে কর্মকর্তাগণের তালিকায় গতকাল শনিবার পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে মোঃ আলমগীর চৌধুরীর নাম রয়েছে। অথচ বিগত নির্বাচনে নবীগঞ্জ উপজেলার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন শেখ ফজলুল হক চৌধুরী সেলিম। বর্তমানেও তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান।
যোগাযোগ ব্যবস্থা ক্যাটাগরিতে দেখা গেল, বদলী হওয়ার পরও সেখানে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌহিদ বিন হাসানের মোবাইল নাম্বার যুক্ত। ডাক্তারদের তালিকায় উপজেলা ও স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ আছেন দুই বছর আগে বদলী হওয়া ডাঃ মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের নাম।
নবীগঞ্জ থানার তথ্য বাতায়নে অফিসার ইনচার্জ হিসেবে রয়েছে লিয়াকত আলীর নাম। অথচ এ নামের কর্মকর্তা আরো প্রায় তিন বছর আগে বদলী হয়েছেন। এরপর যোগ দিয়েছেন আব্দুল বাতেন খান, এসএম আতাউর রহমান, ইকবাল হোসেন, সোহেল রানা এবং বর্তমানে আজিজুর রহমান কর্মরত। উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা হিসেবে উল্লেখ রয়েছে তারিন বাশার লিমার নাম। অথচ তিনি বহু আগেই বদলী হয়ে গেছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স প্রতিটি এলাকার জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। কিন্তু নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের তথ্য বাতায়নে তিনজন কর্মকর্তার নাম থাকলেও যোগাযোগের কোন মোবাইল নম্বর পাওয়া যায়নি।
বর্তমান উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নাম কাজী সাইফুল। কিন্তু ওই ওয়েবসাইটে শিক্ষা কর্মকর্তার নাম রয়েছে আব্দুর রাজ্জাকের। অথচ তিনি বদলি হয়েছেন আরো প্রায় তিন বছর পূর্বে। এছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিস, উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার, নবীগঞ্জ হাসপাতাল, মৎস্য কর্মকর্তার র্কাযালয়সহ অনেক কার্যালয়েরই তথ্য হালনাগাদ নেই ওয়েব পোর্টালে। উল্লেখ রয়েছে নবীগঞ্জ থেকে দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ হয় সাতটি। কিন্তু ওই উপজেলা থেকে এতগুলো পত্রিকা প্রকাশ হয় না।
নবীগঞ্জ ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী ফারহানা আক্তার দৈনিক খোয়াইকে বলেন, আমরা নবীগঞ্জের অনেক তথ্য জানি না। কিন্তু তথ্য বাতায়ন থেকে যে তথ্যটি পাচ্ছি তা যদি ভুল হয়, তাহলে সারাজীবন ভুল শিক্ষাটাই থাকবে। এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া আরও অনেকেই তথ্য বাতায়নে সঠিক তথ্য হালনাগাদের বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনকে আরও আন্তরিক হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *