স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে দুর্নীতির ঘটনায় দুদকের দুই মামলায় তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তারা আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করলে শুরু হবে বিচার কাজ। সংস্থাটির উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা গতকাল রাতে দৈনিক খোয়াইকে এ কথা জানান।
তিনি বলেন, মামলা দায়েরের পরপরই নিয়মানুযায়ী তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। ১৮০ দিনের মধ্যেই আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করবেন তারা। এরপর আদালতে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
সম্প্রতি শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে কেনাকাটায় দুর্নীতির ঘটনায় প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মেডিকেল কলেজটির অধ্যক্ষ ডাঃ মোঃ আবু সুফিয়ানসহ তিনজনকে আসামী করে দু’টি মামলা দায়ের করেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাকী দুই আসামী হলেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান নির্ঝরা এন্টারপ্রাইজের সত্ত্বাধিকারী আফসানা ইসলাম কাকলী এবং পুনম ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী এসএম নজরুল ইসলাম নতুন।
মামলার এজাহারে বলা হয়- অধ্যক্ষ আবু সুফিয়ান ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী কাকলী একে অপরের যোগসাজশে প্রকৃত মূল্যের চেয়ে উচ্চমূল্য দেখিয়ে বইপত্র ক্রয় করে সরকারের ১ কোটি ২৯ লাখ ৩৩ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এছাড়া পুনম ট্রেড ইন্টারন্যশনালের সত্ত্বাধিকারী নতুন ও অধ্যক্ষ সুফিয়ান মিলে উচ্চমূল্যে যন্ত্রপাতি ক্রয় দেখিয়ে আত্মসাৎ করেন সরকারের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। যা দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
প্রসঙ্গত, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ১৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, হবিগঞ্জে। ভ্যাট ও আয়কর খাতে সরকারি কোষাগারে জমা হয় এক কোটি ৬১ লাখ ৯৭ হাজার ৭৪৮ টাকা। মালামাল ক্রয় বাবদ ব্যয় দেখানো হয় ১৩ কোটি ৮৭ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ টাকা। কিন্তু বাস্তবে ওই মালামালের মূল্য পাঁচ কোটি টাকার বেশি নয়। বাকি টাকার পুরোটাই ভাগ-বাটোয়ারা হয়েছে; এমন অভিযোগ এনে দুদকের ১০৬ হটলাইনে অভিযোগ দেয়া হয়। এরপর গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হলে এনিয়ে তদন্তে নামে দুদক।