থমথমে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা

প্রথম পাতা

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ নিরব-নিস্তদ্ধ চারদিক। কিছু সময় পর পর আসছে-যাচ্ছে পুলিশ। ফাঁকা দায়িত্বপ্রাপ্তদের কক্ষগুলো। গেটের ভেতরে যাচ্ছেন না স্থানীয় লোকজনও। গতকাল বুধবার সারাদিন এমন থমথমে অবস্থা ছিল শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা কার্যালয়ের।
এদিকে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও পৌরসভার মেয়র মোঃ ছালেক মিয়ার বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে কর্মবিরতি পালনের পর এবার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন কর্মচারীরা। তবে বসে নেই মেয়র ছালেকও। তিনি কার্যালয়ের গোপন ক্যামেরা ভাংচুরের অভিযোগ এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় পাল্টা অভিযোগ দায়ের করেছেন। এনিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন পৌর নাগরিক বলেন, মেয়র-কর্মচারীদের বিরোধ আরও অনেক পৌরসভায় বিদ্যমান। তবে শায়েস্তাগঞ্জের প্রেক্ষাপট ভিন্ন। এখানে উভয়পক্ষই মারমুখী অবস্থানে। আর এসব ঝামেলা এড়াতে ভেতরে যাচ্ছেন না সাধারণ নাগরিকেরা।
গতকাল বুধবার শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ১৩ কর্মচারীর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট প্রদান করা হয়েছে। স্বারকলিপিতে তারা বলেন, মেয়র মোঃ ছালেক মিয়া তাদের উপর শারীরিক ও মানষিকভাবে নির্যাতন করেছেন। অফিসে এসেই তিনি একে একে ডেকে এনে এমন নির্যাতন করেন। মান ইজ্জতের ভয়ে আমরা অনেক সহ্য করেছি। আর মানতে পারছি না। কর্মচারীরা জানান, অফিস বর্জন করায় তাদের বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভয় দেখানো হচ্ছে মিথ্যা মামলার। তাদের উপর হামলা হতে পারে। এ অবস্থায় তারা কর্তৃপক্ষের কাছে সুবিচার কামনা করছেন।
অন্যদিকে গতকাল রাতে শায়েস্তাগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আল মামুন দৈনিক খোয়াইকে জানিয়েছেন, মেয়র ছালেক তার কার্যালয়ে সিসি ক্যামেরা ভাংচুর এবং জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এ নিয়ে তদন্ত চলছে। উর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *