স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে জংশনে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটেছে। অবৈধভাবে যাত্রী পরিবহনে বাঁধা ও সংবাদ সংগ্রহ করায় এ হামলা চালায় রেলওয়ের কর্মচারিরা। হামলায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শাহ মোস্তফা কামাল জাতীয় দৈনিক মানবজমিনের শায়েস্তাগঞ্জ প্রতিনিধি।
এ ঘটনায় জেলা জুড়ে সাংবাদিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছেন ট্রেন আটকে বিক্ষোভ করার।
জানা যায়, শনিবার সকাল ৯টায় সিলেট থেকে ঢাকাগামী কালনী ট্রেনের পাওয়ার কারের বগিতে টিকেট ছাড়া অবৈধভাবে যাত্রী উঠানো হচ্ছিল। এসময় মোস্তফা কামাল ছবি তুলতে গেলে পাওয়ার কারের ইলেক্ট্রিক খালাসী মোক্তার হোসেনসহ কয়েকজন তার উপর হামলা চালায়। তিনি আত্মরক্ষার্থে স্টেশন মাষ্টার মুয়াজ্জুল হকের কক্ষে আশ্রয় নেন। হামলাকারীরা সেখানে গিয়ে তাকে টেনে হেঁচড়ে ট্রেনে তুলে বেধড়ক মারপিট করে ও চলন্ত ট্রেন থেকে ফেলে দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত সাংবাদিক শাহ মোস্তফা কামাল খোয়াইকে জানান, দীর্ঘদিন থেকে শায়েস্তাগঞ্জ রেল স্টেশনে কতিপয় কর্মচারীদের সহযোগীতায় অবৈধভাবে বিভিন্ন ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রেনের বিদ্যুতের ইউনিট পাওয়ার কারের ভিতরেও ঝুঁকিপূর্ণভাবে যাত্রী নেওয়া হয়। শনিবার সকালে কালনী এক্সপ্রেস শায়েস্তাগঞ্জ জংশনে থামলে পাওয়ার কারে অবৈধভাবে যাত্রী উঠানো হচ্ছিল। এ সময় তিনি সেই দৃশ্য ক্যামেরায় ধারণ করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মোক্তার হোসেনের নেতৃত্বে কয়েকজন স্টাফ নেমে এসে তাকে টেনে হেঁচড়ে ট্রেনে তুলে বেধড়ক মারধর করে ও কিছুক্ষণ পর গুরুতর আহত অবস্থায় চলন্ত ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
তিনি বলেন, আমি আত্মরক্ষার্থে স্টেশন মাষ্টারের কক্ষে গিয়েও রেহাই পাইনি।
হবিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আহমদ খান বলেন, পেশাগত দ্বায়িত্ব পালনের সময় এ ঘটনায় সাংবাদিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ট্রেনের ওই কর্মচারীকে প্রত্যাহার না করলে ওই ট্রেনটি শায়েস্তাগঞ্জে আটকে রেখে অবরোধ করা হবে।
এ বিষয়ে স্টেশন মাষ্টার মুয়াজ্জুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে খোয়াইকে জানান, আমি অনেক চেষ্টা করেও সাংবাদিককে রক্ষা করতে পারি নি। অভিযুক্ত মোক্তার হোসেনকে তাৎক্ষনিক চলতি দ্বায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছি। পরবর্তী প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লিখেছি।