মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ সময়ে ঘনিয়ে আসছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের। তবে আরও প্রায় পাঁচ মাস বাকী থাকলেও এরই মাঝে নবীগঞ্জ উপজেলাজুড়ে প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। নির্বাচনী হালচাল নিয়ে দৈনিক খোয়াই’র ধারাবাহিক প্রতিবেদনের অংশ হিসেবে আজ তুলে ধরা হল নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের নির্বাচনী হালচাল ঃ
ইউনিয়ন পরিষদের পরিচিতি ঃ
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর থেকে আড়মোড়া দিয়ে ওঠা নবীগঞ্জ উপজেলায় সৌন্দর্য্যরে কমতি নেই। এ উপজেলার অন্যতম অঞ্চল দিনারপুর পরগানার একাংশ নিয়ে গঠিত গজনাইপুর ইউনিয়ন।
জানা গেছে, ১৯৬২ সাল থেকে ১৯৬৭ সাল পর্যন্ত এ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন মোঃ রাজা কাজী। এর আগে চেয়ারম্যান ছিলেন দেওয়ান আলতাবুর রহমান। তবে উনার কার্যকাল জানা যায়নি। ১৯৬৭ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন মোঃ আব্দুল আলী। ১৯৭২ থেকে ১৯৭৭ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন আলতাব মিয়া চৌধুরী। পরে ১৯৭৭ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন দেওয়ান অলি আহমদ চৌধুরী। ১৯৮২ থেকে ১৯৯২ সাল পর্যন্ত টানা ২ বার ১০ বছর চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন শাহ নওয়াজ। ১৯৯২ সাল থেকে ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান ছিলেন ইমদাদুর রহমান মুকুল। পরে ফের নির্বাচিত হয়ে শাহ নওয়াজ ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে ২০০৩ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত দুই দফায় অর্থাৎ ১৩ বছর একটানা নির্বাচিত হয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন আবুল খায়ের গোলাপ। সর্বশেষ ২০১৬ সালের নৌকা প্রতীকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইমদাদুর রহমান মুকুল চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
বর্তমান চেয়ারম্যান ইমদাদুর রহমান মুকুলের পাশাপাশি এবার আলোচনায় রয়েছেন, সাবেক চেয়ারম্যান শাহ নওয়াজ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার নুর উদ্দিন (বীর প্রতীক), সাবেক চেয়ারম্যান আবুল খায়ের গোলাপের স্ত্রী মিনারা খাতুন, সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা জমশেদ আলী, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতা শাহ তোফায়েল আহমেদ, ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও সমাজ সেবক আবুল খায়ের খায়েদ, বর্তমান ইউপি সদস্য মোঃ জাহেদ আহমদ, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কাইয়ুম সেলিম, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শফিউল আলম বজলু, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাবের আহমেদ চৌধুরী, যুক্তরাস্ট্র প্রবাসী শেখ মাসুদুর রহমান মাসুদ। এছাড়াও আরো বিভিন্ন জনের কথা শুনা যাচ্ছে। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীতা ঘোষনা দেননি কেউ। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন তারা বিভিন্নভাবে নিজেদের প্রার্থীতার কথা জানান দিচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইউনিয়নের সকল সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছেন।