মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে কয়েকজন সিএনজি অটোরিক্সা চালক মিলে একজন নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগকারী নারীর অসংলগ্ন বক্তব্যে বিভ্রান্ত পুলিশ এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
আনুমানিক ত্রিশ বছর বয়সী ওই নারী একেক বার একেক ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন। এতে তদন্তে সময় বিলম্ব হচ্ছে পুলিশের। তবে ধর্ষিতা দাবিদার নারী এবং তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
ওই নারীর দাবি গত রবিবার সন্ধ্যায় তিনি সিএনজি অটোরিক্সাযোগে নবীগঞ্জের মজলিসপুর থেকে শেরপুরে যাচ্ছিলেন। কিন্তু চালক তাকে মজলিশপুর নামিয়ে না দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান। পরে আরো কয়েকজন অটোরক্সা শ্রমিক মিলে তাকে আউশকান্দি এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে নিয়ে হাত-পা বেঁধে রাতভর ধর্ষণ করেন। সকালে ওই নারীকে তার এক আত্মীয়ের বাড়িতে পৌঁছে দেয়া হয়। এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার পারভেজ আলম চৌধুরী ও নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান। তখন তারা ধর্ষিতা দাবিদার নারীর বক্তব্য শোনেন।
উপস্থিত সকলের সামনে ওই নারী প্রথমবার বলেন তাকে সাতজন মিলে ধর্ষণ করেছেন। পরে আবার বলেন ধর্ষণকারী তিনজন। সর্বশেষ জানান ২১ জন অথবা ১৪ জন তাকে ধর্ষণ করেছেন। ধর্ষণকারীরা তার মোবাইল ফোনটি বিকল করে দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন। এনিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েন পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। পরে অভিযোগকারী নারী ও তার স্বামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়।
আউশকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মহিবুর রহমান হারুন দৈনিক খোয়াইকে জানান, ওই মহিলার অসংলগ্ন বক্তব্যে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ-বাহুবলের সার্কেল সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পারভেজ আলম চৌধুরী বলেন, ওই নারীর ভিন্নধর্মী বক্তব্যের জন্য তদন্তে বিলম্ব হচ্ছে। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এদিকে, সঠিক তথ্য পাওয়ার স্বার্থে ওই নারী ও তার স্বামীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলেও পুলিশের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
অন্যদিকে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষিতা নারী নবীগঞ্জ উপজেলার দেবপাড়া ইউনিয়নের কালাবরপুর গ্রামের বাসিন্দা। কিন্তু সৈয়দপুর বাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।