এমএ আহমেদ আজাদ/উত্তম কুমার পাল/মতিউর রহমান মুন্না ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল এলাকায় বাসচাপায় সিএনজি চালিত অটোরিকশার ৬ জনসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা পৌনে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সিলেটমুখী বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস যাত্রীবাহী দুইটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার চালকসহ ৮ জন নিহত হন।
নিহতদের মাঝে ছয়জনের পরিচয় জানিয়েছে পুলিশ। এরা হলেন, নবীগঞ্জ উপজেলার মুড়াউড়া গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী ছমিরুন বেগম (৩০), তার মেয়ে মারিয়া বেগম (২), একই গ্রামের আবু শ্যামার মেয়ে হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের মৃত ছুরত আলীর ছেলে লিটন মিয়া (১৮), একই গ্রামের আফতাব মিয়ার ছেলে কিতাব আলী (২৫), লিজা আক্তার ও নূরুল ইসলামের ছেলে অন্তর মিয়া (১৭)। বাকী একজন অজ্ঞাত পরিচয় পুরুষ।
দুর্ঘটনার পর সাতাইহাল এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে বিক্ষুব্ধ জনতা। এতে মহাসড়কটি দিয়ে যান চলাচল বন্ধ ছিল। তবে কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থতি শান্ত করেছে।
দুর্ঘটনার পর দমকল বাহিনীর ইউনিট দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে মরদেহগুলো উদ্ধার করে। অভিযানের নেতৃত্বে ছিলেন হবিগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা শিমুল মোহাম্মদ রাফি ও শফিকুল ইসলাম।
নবীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজিজুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় নিহতদের ছয়জন একটি অটোরিক্সার যাত্রী ছিলেন। এদের পরিচয় মিলেছে। বাকী একজনের পরিচয়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নবীগঞ্জ-বাহুবল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) পারভেজ আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, কুমিল্লা থেকে বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস সিলেট যাচ্ছিল। বাসটি সাতাইহাল এলাকায় আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা দুইটি সিএনজি অটোরিক্সাকে চাপা দিলে দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সকলেই অটোরিক্সার যাত্রী।
তিনি আরও জানান, সড়ক দুর্ঘটনার পর কয়েকটি ইউনিয়নের লোকজন জড়ো হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক বন্ধ করে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পুলিশ তাদেরকে শান্ত করেছে।