জুয়েল চৌধুরী ॥ হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন আহমেদ ও আক্কাস মিয়ার লোকজনের মাঝে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ আহত হয়েছেন অন্তত পঞ্চাশ জন।
গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। ৩০ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৩ রাউন্ড টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত করে পুলিশ। সংঘর্ষের পর ১৩ জনকে আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন ও আক্কাস এর মধ্যে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছিল। পূর্বের এ বিরোধের জের ধরে গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে দুইপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। পরে জুমার নামাজের পর দু’পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ আবারও ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছেন। এদেরকে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। আহত হয়েছেন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) শাহীদ, আব্দুর রহিম ও হারুন আল রশিদসহ ৫ পুলিশ সদস্য।
আটককৃতরা হলেন, আব্দুল আহাদ (৩৫), আব্দুস সালাম (৩২), সোহেল মিয়া (৩৫), নুর আলম (২৫), উসমান গণি (৩৫), মুহিবুর রহমান (২০) সহ ১৩ জন।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মাসুক আলী দৈনিক খোয়াইকে জানান, চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন ও আক্কাস এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্তিতি শান্ত আছে। তদন্ত চলছে।
এ বিষয়ে নিজামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান তাজ উদ্দিন আহমেদের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।