মোঃ আবু হেনা, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ আজমিরীগঞ্জ পৌরসভার একমাত্র গণশৌচাগারটি নির্মাণের প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত হলেও তালা বন্ধ থাকায় তা কাজে আসছে না। জনসাধারণের জন্য নির্মান করা হলেও এখন পর্যন্ত এটি অব্যবহৃত রয়েছে। ফলে বাজারের ব্যবসায়ীসহ সপ্তাহের দুটি হাটের দিন বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত লোকজনকে পড়তে হচ্ছে বিপাকে।
পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে ৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পৌরসভার গরুর বাজারের পশ্চিম দিকে গণশৌচাগারটি নির্মান করা হয়। কিন্তু কাজ শেষ হবার দশ বছর পেরিয়ে গেলেও আজ অবধি শৌচাগারের তালা খুলেনি পৌর কর্তৃপক্ষ। আর এতে প্রতিদিনই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ।
গতকাল শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়, বিআইডব্লিউটি ভবনের পাশে অবস্থিত গণশৌচাগারটি তালাবদ্ধ। দেয়ালের বিভিন্ন জায়গা থেকে খসে পড়েছে পলেস্তারা। শৌচাগারটির ভিতরে ময়লা-আবর্জনার স্তুপ জমেছে।
বাজারের ব্যবসায়ী সাগর মিয়া বলেন, নির্মাণকাল থেকেই গণশৌচাগারটি এমন দেখছেন। লোকজন এটি ব্যবহার করতে পারে না। জরুরি প্রয়োজনে হোটেলের টয়লেটে যান। সেখানেও রয়েছে নানা ঝামেলা। গণশৌচাগারটি ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করতে একাধিকবার পৌর কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দেয়া হলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা থেকে হাটে আসা কামরুল মিয়া খোয়াইকে বলেন, সপ্তাহের দুইদিন রবি ও বৃহস্পতিবারসহ প্রায় সময়ই নিকটবর্তী হওয়ায় হাট বাজার করা সহ বিভিন্ন কাজে আমরা আজমিরীগঞ্জ পৌরসদরে আসি। কিন্তু কোন শৌচাগার না থাকায় মহিলাদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় আমাদের।
পার্শ্ববর্তী বানিয়াচং উপজেলা থেকে আগত ব্যবসায়ী রহিম মিয়া জানান, দীর্ঘদিন যাবৎ আজমিরীগঞ্জ পৌরসদরের হাটে ব্যবসা-বানিজ্য করতে আসি। কিন্তু সরকারি কোন শৌচাগার না থাকায় আনেক সময় হোটলে রুম ভাড়া নেই। এতে অতিরিক্ত অর্থ অপচয়ের পাশাপাশি অনেক সময় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক জুয়েল ভৌমিক খোয়াইকে বলেন, আমি জানতাম গণশৌচাগারটি চালু রয়েছে। তবে এখনো এটি বন্ধ কেন, তা খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।