পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থার বিকল্প নেই

সম্পাদকীয়

বালু উত্তোলনকারীরা কি সরকার থেকেও শক্তিশালী? তারা প্রশাসনকে কোনভাবেই তোয়াক্কা করছে না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিদিন এই বালু খেকোরা নিয়ম-কানুন না মেনে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। অন্যদিকে প্রশাসনও প্রতিনিয়ত অভিযান চালিয়ে বালু খেকোদের ব্যবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপাতি জব্দ করে পুড়িয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি ওই কাজে জড়িত ব্যক্তিদেরকে সাজাও প্রদান করছেন। কিন্তু এত করেও তাদেরকে দমানো যাচ্ছে না। তারা এই অবৈধ কাজ চালিয়েই যাচ্ছে। এর কারণ হচ্ছে এই বালু উত্তোলন ও বিক্রয়ে বিপুল অর্থযোগ। কাঁচা টাকার ঝনঝনানি তাদেরকে প্রলুব্ধ করছে। পাশাপাশি এদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গ। এ সমস্ত কারণেই এদেরকে কোনভাবেই দমানো যাচ্ছে না। এতে করে সরকার যেমন রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অন্যদিকে ভাঙ্গনসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া যাদেরকে ভ্রাম্যমান আদালত সাজা দিচ্ছেন তাদের বেশিরভাগই কর্মচারী পর্যায়ের। মূল মালিকরা ধরাছোয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। আমরা মনে করি এসব কর্মচারীদের সাজা না দিয়ে বালু উত্তোলনে জড়িত মূল ব্যক্তিদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। প্রয়োজনে এসব ব্যক্তিদের অনির্দিষ্টকালের জন্য বালু উত্তোলন কাজে নিষিদ্ধ করতে হবে। এছাড়া আইন সংশোধন করে শাস্তির বিধান আরও কড়াকড়ি করতে হবে। এভাবে কিছু সংখ্যক লোকের হাতে প্রকৃতিকে ধ্বংস হতে দেয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে প্রকৃতি কিন্তু এর প্রতিশোধ নির্মমভাবে নিবে। যার নমুনা আমরা গত কয়েক মাস ধরে করোনায় ভালভাবেই দেখতে পাচ্ছি। এখনও যদি এ থেকে আমাদের শিক্ষা না হয় তবে আমাদের পরিণতি সত্যিই ভয়াবহ। মনে রাখতে হবে প্রকৃতিকে আমাদের সর্বোচ্চভাবে লালন পালন করতে হবে। আমাদের সরকার প্রধান এ ব্যাপারে সবসময়ই কঠোর মনোভাব পোষণ করে আসছেন। সংশ্লিষ্ট সকলকে অবশ্যই আরও বেশি মনযোগী হতে হবে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *