প্রকাশ্যে দুর্নীতির পরও কিভাবে পার পাচ্ছেন ছাত্রলীগ নেতা?

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ লাখাই উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আলোচিত দেলোয়ার হোসেন মান্নার ‘মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজের’ আওতায় টিসিবি’র লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ অদৃশ্য কারণে বাস্তবায়ন হচ্ছে না। দুর্নীতির এন্তার অভিযোগের পরও তাঁর লাইসেন্স বাতিল না হওয়ার ঘটনা নিয়ে আলোচনা-পর্যালোচনা হচ্ছে।
দুর্নীতির অভিযোগে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা অভিযুক্ত মান্নাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন; টিসিবির লাইসেন্স বাতিলেরও সুপারিশ করা হয়। সর্বশেষ শোকজের ঘটনা গত ২০ আগস্ট।
অভিযোগ আছেÑ ‘মেসার্স আমেনা এন্টারপ্রাইজের’ অনুকূলে অস্বচ্ছল লোকদের জন্য আসা স্বল্পমূল্যের টিসিবির পণ্য আওয়ামী লীগের প্রভাব খাটিয়ে খোলা বাজারে বিক্রয় করেন মান্না। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় লোকজন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি পদের প্রভাব খাটিয়ে টিসিবির ডিলারশীপ হাতিয়ে নেন। আরও নানা অন্যায়ের অভিযোগ তাঁর নামে। ২০২৩ সালের ২৭ জুন এক জনপ্রতিনিধিসহ স্থানীয় লোকজন তাঁর বিরুদ্ধে ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। এতে উল্লেখ করা হয়, টিসিবি কার্ডধারী লোকজনকে স্বল্পমূল্যের সয়াবিন তেল না দিয়ে তিনি তা খোলা বাজারে বিক্রি করতেন।
তদন্তে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেলে ইউএনও তাঁর লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেন। বছর পার হয়ে গেলেও আলোর মুখ দেখেনি সেই সুপারিশ।
আরও একটি লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ মে সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাসুদুর রহমানকে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। পরে তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে টিসিবির চেয়ারম্যান বরাবর ফের মান্নার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ জানিয়ে চিঠি পাঠান ইউএনও। আজও মেলেনি সেই চিঠির উত্তর। তাঁকে আরেক দফায় শোকজ করা হয়েছে গত ২০ আগস্ট। তাঁর জবাব দেওয়ার শেষ দিন আজ রবিবার।
স্থানীয় কয়েকজন জানান, মান্নার দুর্নীতি এলাকার লোকজনের মুখে মুখ প্রচার হয়েছে; এতবার শোকজ ও লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশের পরও তা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। তাঁদের প্রশ্ন প্রকাশ্যে দুর্নীতির পরও ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছেন?’
এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে আমি টিসিবি চেয়ারম্যানের বরাবর দেলোয়ার হোসেন মান্নার লাইসেন্স বাতিলের সুপারিশ করেছি। কিন্তু কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এর বেশি কিছু করার এখতিয়ার আমার নেই।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *