সাইফ আহছান ॥ হবিগঞ্জে গত ১২ দিনে সড়ক দুর্ঘটনায় ১০ জন মারা গেছেন। আহত হয়েছেন অন্তত আরো ২০ জন। নিহতদের মধ্যে ছিলেন যশোরের একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানও। বাকীরা হবিগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন স্থানের।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার মাধবপুর উপজেলায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে দ্রুতগামী এনা বাসের ধাক্কায় মালেকা বেগম (৬৫) নামে এক নারী মারা গেছেন। তিনি উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের মৃত সিরাজ আলীর স্ত্রী। দুর্ঘটনার পর বিক্ষুব্ধ জনতার আন্দোলনে এক ঘন্টা মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর নবীগঞ্জে ও বাহুবলে একজন করে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দুইজন। এরা হলেন নারায়নগঞ্জের ইষ্পাহানী গ্রামের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ (৪০) ও নবীগঞ্জ উপজেলার করগাঁও গ্রামের হানিফ উল্লার ছেলে আমির উদ্দিন (৫৫)। ওইদিন দুপুরে চলিতাতলায় গাড়ি চাপায় মারা যান আব্দুল হামিদ। একইদিন সকালে দ্রুতগামী মোটরসাইকেল চাপায় প্রাণ হারিয়েছিলেন আমির উদ্দিন।
১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে হাওর থেকে শাপলা তুলে হবিগঞ্জ-সুজাতপুর সড়কের হিয়াল সড়ক দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন সুপ্রভা সরকার (৩৫)। পিছন থেকে দ্রুতগতির সিএনজি ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
১৩ সেপ্টেম্বর আইনজীবীর পরামর্শ নিতে হবিগঞ্জ শহরে এসেছিলেন বাহুবল উপজেলার মন্ডলকাপন গ্রামের রোশন উল্লা (৭০)। সকাল দশটায় বাড়ি ফিরে যাওয়ার পথে শায়েস্তানগর এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সার ধাক্কায় আহত হন। পরে চিকিৎসার জন্য সিলেটে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি মারা যান।
গত ১২ সেপ্টেম্বর রবিবার চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ শহরে এসে ইজিবাইকের চাকায় শাড়ি প্যাচিয়ে মারা যান সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার কান্দিগাঁও গ্রামের জবেদা খাতুন (৭০)।
৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে মাধবপুর উপজেলার নোয়াপাড়ায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ট্রাকের সাথে একটি পাজারো জীপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মারা যান যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমুল ইসলাম কাজল ও তার সহকর্মী আঁখি আক্তার (২৩)সহ চারজন। পরদিন হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল থেকে মরদেহগুলো নিয়ে যান পরিবারের লোকজন।