বিভাগের সর্বোচ্চ লোডশেডিং হবিগঞ্জে

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত কয়েক মাস ধরে হবিগঞ্জ শহরে চলছে লোড শেডিং। দিনের পাশাপাশি রাতেও বিদ্যুৎ থাকছে না। প্রতিদিন গড়ে আট ঘণ্টা বা তারও বেশি সময় ধরে লোড শেডিং হওয়ায় বেশি ভোগান্তিতে পড়েছে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা। এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের লেখা পড়াতেও ব্যঘাত ঘটছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সিলেট বিভাগের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা হবিগঞ্জ হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ পাওয়ার দিক থেকে এ জেলা অন্য সকল জেলা থেকে পিছিয়ে। এর কারণ জানাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি)। সুনামগঞ্জ জেলা শহরে প্রতিদিন গড়ে ৪ ঘন্টা এবং সিলেটে এলাকা বেধে ২ থেকে ৩ ঘন্টা লোড শেডিং হয়। কিন্তু হবিগঞ্জে প্রতিদিন লোড শেডিং হচ্ছে আট ঘন্টা বা তারও বেশি। সুনামগঞ্জ শহরে রাতে লোড শেডিং না থাকলেও হবিগঞ্জে রাত ১২টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত তিন দফায় এক ঘন্টা করে মোট তিন ঘন্টা লোড শেডিং হচ্ছে।
হবিগঞ্জ শহরের বাসিন্দা সাইফুল ইসলাম বলেন, “গরমে খুবই অস্বস্তিতে রয়েছি। দিনে ও রাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লোড শেডিং এই অস্বস্তিকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।”
শিক্ষক নূরজাহান বেগম বলেন, “সিলেটের অন্য জেলাগুলো থেকে হবিগঞ্জ বিভিন্ন দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলেও এখানে লোড শেডিং বেশি। এতে বাচ্চাদের লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটছে। কেন এই বৈষম্য হচ্ছে তা খতিয়ে দেখা উচিত।”
এ বিষয়ে বিপিডিবি হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার বলেন, “হবিগঞ্জ শহরে প্রতিদিন ১৬ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে ১০ মেগাওয়াট পাওয়ায় লোড শেডিং করতে হচ্ছে।” অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় এখানে লোডশেডিং বেশি কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সরবরাহ কম হওয়ায় লোডশেডিং বেশি।”
অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে এখানে সরবরাহ কম হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি তা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *