স্টাফ রিপোর্টার ॥ শুল্কমুক্ত সুবিধা নিয়ে আমদানী করা প্রাক্তণ সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ও ময়েজ উদ্দিন শরীফের দুটি বিলাসবহুল গাড়ি আটকে দেওয়া হয়েছে। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় গাড়িগুলোর খালাস আটকে দিয়েছে কাস্টমস।
এদিকে, বিগত সংসদে যাওয়া পঞ্চাশ জন এমপির আমদানী করা গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে দামি গাড়িটি নিয়েছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। এটি ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানের গাড়ির মূল্যের থেকেও বেশি।
তবে সাকিবেরটা আগেই ছাড় করতে পারলেও শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছেন না ব্যারিস্টার সুমন ও ময়েজ উদ্দিন শরীফ।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্র বলছে, প্রাক্তণ এমপি ময়েজ উদ্দিন শরীফের আমদানী করা গাড়িটি হতে পারে টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড ক্রুজার প্রাডো অথবা টয়োটা এলসি স্টেশন ওয়াগন। শুল্কসহ দাম পড়বে কোটি টাকা।
এনবিআর থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষনে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি দামে গাড়ি আমদানি করেছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। তিনি একটি গাড়ি আমদানির জন্য ১ লাখ ১১ হাজার ডলারের এলসি খোলেন। প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৪৮ পয়সা হিসেবে ওই গাড়ির আমদানিমূল্য পড়েছে এক কোটি ৩২ লাখ ৬২ হাজার ২৮০ টাকা। শুল্ককরসহ এ গাড়ির দাম পড়বে প্রায় ১১ কোটি টাকা।
৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে ও পরে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা ৫০টি গাড়ির মধ্যে সাকিব আল হাসানের গাড়িসহ সাতটি গাড়ির খালাস দেয় কাস্টমস। তবে বিআরটিএ থেকে এসব গাড়ি এখনো রেজিস্ট্রেশন পায়নি। অবশিষ্ট ৪৩টি গাড়ি চট্টগ্রাম বন্দর, মংলা বন্দর এবং কমলাপুর ইনল্যান্ড কনটেইনার ডিপোতে (আইসিডি) রয়েছে।
আমদানিকারকের পক্ষে খালাসের দায়িত্বে ছিলেন গোল্ডেন স্টার এজেন্সি, চেরি এন্টারপ্রাইজ, নাভানা লিমিটেডসহ ছয়টি সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠান।
সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার কারণে খালাসের অপেক্ষায় থাকা গাড়িগুলোতে ব্যারিস্টার সুমন ও ময়েজ উদ্দিন শরীফ শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবেন না বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে। স্বাভাবিক হিসাবে আমদানি করা এসব গাড়ির সিসি অনুসারে শুল্কায়ন মূল্যের ৮১০ থেকে ৮২৭ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে তাদের।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের কমিশনার মোহাম্মদ ফাইজুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, বিগত জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার পরে যেসব গাড়ি আমদানি হয়েছে, তাতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় খালাস দেওয়ার সুযোগ নেই। এ গাড়িগুলো নিয়ম অনুযায়ী সব শুল্ককর পরিশোধ করে খালাস নিতে হবে।