স্টাফ রিপোর্টার ॥ শেখ হাসিনার পতনের আগে পর্যন্ত নিজেকে আওয়ামী লীগ কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে গেছেন আলোচিত সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন; নির্ভরযোগ্য একাধিক সূত্র শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার আগেই তাঁর যুক্তরাষ্ট্র চলে যাওয়ার খবর দিচ্ছে।
‘যা হোক হবে, কখনও দেশত্যাগ করব না’ বক্তব্য দেওয়া সুমনের বিদেশ যাওয়ার এ খবর ব্যাপকভাবে সমালোচনা-পর্যালোচনা চলছে। মানুষের ভাষ্য ‘ব্যারিস্টার সুমনের জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়েছে।’ এ পরিস্থিতিতে দুই সপ্তাহ পর মুখ খুলেন তিনি; ভিডিও বার্তায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফ্যান-ফলোয়ারদের উদ্দেশ্যে।
গতকাল সোমবার রাতে ব্যারিস্টার সুমন তাঁর ফেসবুক ওয়ালে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। তবে চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলাবাসীর ভোটে নির্বাচিত হওয়া এ সংসদ সদস্য এ অঞ্চলের লোকজনের উদ্দেশ্যে আলাদা করে কিছু বলেননি। শুরুতেই ছাত্র-জনতার উদ্দেশ্যে দুঃখ প্রকাশ করেন।
বলছিলেন, ‘আমার ব্যর্থতা হচ্ছে আমি যে কোটা সংস্কার এবং আন্দোলনে নিহত-আহতদের বিচার হওয়ার পক্ষে ছিলাম সেটি আমি বুঝাতে পারিনি।’
‘দেশের কাঠামোগত যে সংস্কার আপনারা চাচ্ছেন এই কাজ আমি বহুবছর আগে থেকে করে যাচ্ছি। গত ১৫ বছরে যে দুইচারজন মানুষ দেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ছিলেন তাঁদের মধ্যে হয়তো আমাকেও একজন ভাবেন আপনারা।’
ভিডিওতে বিতর্কিত ব্যবসায়ী সাইফুল আলম (এস আলম), আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দুর্নীতিবাজ পুলিশ কর্মকর্তা বেনজীর আহমেদ, কর কমিশনার মতিউর রহমান, বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, সহ সভাপতি সালাম মুর্শেদী এবং ওসি মোয়াজ্জেমের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলেছেন এবং মামলা দায়ের করেছেন বলে উল্লেখ করেন সুমন।
তিনি আরও বলেন, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন শুরুর দুই সপ্তাহ আগে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছি। সবসময় দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্চার থেকেছি।’
সবশেষে ছাত্র-জনতার দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধে শরিক থাকার ঘোষণা দেন ব্যারিস্টার সুমন।