আবুল কালাম আজাদ ॥ চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ১০২ থেকে ১৮ টাকা বাড়িয়ে ১২০ টাকা করা হয়েছে। মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে চলমান আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। চা শ্রমিকরা এ মজুরি পাবেন ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে। আপাতত চা শ্রমিকদের বকেয়া হিসেবে ৩ হাজার টাকা করে দেয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার শ্রীমঙ্গলের প্রভিডেন্ট ফান্ড অফিসে সমঝোতা বৈঠকে মজুরি বৃদ্ধির প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়। বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মাখন লাল কর্মকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক রামভজন কৈরী বলেন, এখন চা শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি ১০২ টাকার বদলে ১২০ টাকা পাবেন। আর এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে।
বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কার্যালয় লেবার হাউস সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার চা শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ ও চা বাগান মালিক পক্ষের সংগঠন বাংলাদেশি চা সংসদের নেতৃবৃন্দের বৈঠক শুরু হয়। টানা ১১ ঘণ্টার বৈঠক শেষে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। বৈঠকে শারদীয় দুর্গাপূজার আগেই দাবি মেনে নিয়ে চা শ্রমিকদের নতুন মজুরি প্রদানের দাবি জানান নেতৃবৃন্দ। অন্যদিকে, চা সংসদীয় নেতৃবৃন্দ বর্তমান চায়ের বাজারের অবস্থা তুলে ধরে তার ওপর ভিত্তি করে নতুন মজুরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে অভিমত দেন। পূর্ণাঙ্গ চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে বর্ধিত উৎসব বোনাস পাবেন শ্রমিকরা।
তবে চা শ্রমিক সন্তানদের সংগঠন জাগরণ যুব ফোরাম সভাপতি মোহন রবিদাস বলেন, শ্রমিকরা দৈনিক মজুরি দাবি করেছেন ৩০০ টাকা। আর মালিকপক্ষ দিচ্ছেন ১২০ টাকা করে। এ সিদ্ধান্ত অমানবিক দাবি করে নতুন আন্দোলনের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনার কথা জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর থেকে দেশের ২২৮টি চা বাগানে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে প্রতিদিন দুই ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন চা শ্রমিকরা। পরে গত বৃহস্পতিবার মজুরি বৃদ্ধির প্রাথমিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়।