স্টাফ রিপোর্টার ॥ মাধবপুরে ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার হওয়া সাইফুর রহমান মুর্শেদের সুরতহাল ও ময়না তদন্ত রিপোর্টে গড়মিলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় তিন মাস পর কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হল।
পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক মন্ডল ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) হবিগঞ্জের পরিদর্শক শরীফ মোহাম্মদ রেজাউল করিমের উপস্থিতিতে মুর্শেদের মরদেহ উত্তোলন করা হয়। অন্যদিকে মুর্শেদ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী হাসি বেগম এখনও কারাগারে আছেন।
গত ৮ জুন রাতে মুর্শেদের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মৃতের ভাই শফিকুর রহমান বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় পুলিশ মুর্শেদের স্ত্রী হাসিকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করে। তিনি এখনও কারাগারে রয়েছেন। ইতোমধ্যে মৃতের ময়না তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা হয়েছে।
বাদীর অভিযোগ, মাধবপুর থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) ওয়াহিদ গাজী সুরতহাল রিপোর্টে ভিকটিমের গলা, হাত, পা, অন্ডকোষ ও পায়ুপথে সাত থেকে আটটি জখম রয়েছে বলে উল্লেখ করেন। কিন্তু ময়না তদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ বলা হয়েছে মুর্শেদ গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন।
পরে হবিগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তদন্ত প্রতিবেদনে নারাজী দেন মামলার বাদী। আদালত এই আবেদন মঞ্জুর করে পুনরায় ময়না তদন্তের জন্য কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন।