স্টাফ রিপোর্টার ॥ গত সপ্তাহে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হয় ৩শ’ টাকা কেজিতে। এ সপ্তাহে কাঁচামরিচের দাম কমলেও সব্জির দাম কেজিতে বেড়ে গেছে ৫ থেকে ৫০ টাকা করে।
বন্যার প্রভাবে জেলায় আমদানী কমে যাওয়ায় সব্জির দাম বেড়েছে বলে খুচরা সব্জি বিক্রেতারা দাবি করছেন। আর হঠাৎ করে বাজারে সব্জির দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে সাধারণ ক্রেতারা।
চৌধুরীবাজারে গত সপ্তাহে প্রতিকেজি গাঁজরের দাম ১শ’ টাকা ছিল। গতকাল বৃহসস্পতিবার বিকালে দেড়শ’ টাকা কেজিতে গাজর বিক্রি হয়েছে। বরবটি প্রতি কেজি ৫০ টাকা থেকে ৬০ টাকায় ওঠেছে। করলা, কাকরোল ও মুলা ৪০ টাকা থেকে বেড়ে প্রতিকেজি ৫০ টাকা, বেগুন ৬০ থেকে ৮০ টাকা, পটল ৩৫ থেকে ৪০ টাকা এবং শশা ও চিচিঙ্গার কেজি ৩০ টাকা থেকে বেড়ে ৪০ টাকা হয়েছে।
খুচরা সব্জি বিক্রেতা রিয়াদ আহমেদ খোয়াইকে বলেন, বন্যার প্রভাবে কারওয়ান বাজার থেকে হবিগঞ্জে সব্জির আমদামী কমেছে। এজন্য স্থানীয় পাইকারী আড়ৎ ও খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে। চৌধুরী বাজারের ব্যবসায়ীর জানান, স্বাভাবিক সময়ে হবিগঞ্জের চাষীবাজারে প্রতিদিন ভোরে ৭ থেকে ৮ গাড়ি সব্জি কারওয়ানবাজার থেকে আসতো। সম্প্রতি উত্তরাঞ্চলে বন্যার প্রভাবে সেখানে সব্জির আমদানী কমেছে; স্থানীয়ভাবেও উৎপাদন হচ্ছে না। কয়েকদিন ধরে হবিগঞ্জে ৩ থেকে ৪ গাড়ির বেশি সব্জি আমদানী হচ্ছে না।
সরেজমিনে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজারসহ বগলা বাজার, শায়েস্তানগর বাজার ও বেবীস্ট্যান্ড সড়কের বাজারে একইভাবে সব্জির দাম বাড়তে দেখা গেছে। ফলে নিম্ন আয়ের ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।
বানিয়াচং উপজেলার মিজানুর রহমান হবিগঞ্জ শহরে প্রতিদিন রিকশা চালিয়ে কাঁচাবাজার নিয়ে বাড়ি ফিরেন। তিনি জানান, ‘হঠাৎ করেই সব্জির মূল্য কেজিতে ৫ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়ে যাওয়ায় চাহিদামত বাজার করতে পারছেন না।
কলেজ কোয়ার্টারে বেসরকারি ছাত্রবাসের বাসিন্দা বিষ্ণু শীল বলেন, ‘এ সপ্তাহে মেসে বাজারের দায়িত্ব আমার উপর পড়েছে। গত সপ্তাহে সব্জির মূল্যের হিসেবে টাকা নিয়ে বাজারে এসে দেখি দাম বেড়েছে। এজন্য পরিমাণে কম সব্জি নিয়ে ফিরতে হচ্ছে।’
তবে চৌধুরীবাজারে গত সপ্তাহে কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও গতকাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়। টমেটো ১৪০ টাকা, পেঁপে ও ঢেরস ৩০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এই দুই সব্জির দাম গতসপ্তাহেও একই ছিল বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।