‘সরকার টাকা ও টিন দিলে ঘর মেরামত করতে পারব’

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বন্যায় আলফু মিয়ার বসতভিটা ও ফসলী জমি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কয়েকদিন পর বাড়ি থেকে পানি নেমেছে; কোনরকম খেয়ে পড়ে পরিবারের সদস্যরা বেঁচে আছেন। কিন্তু বসতঘরটি টাকার অভাবে মেরামত করতে পারছেন না।
গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ গ্রামে তাঁর বাড়িতে গিয়ে এ তথ্য জানা যায়। আলফু মিয়া খোয়াইকে বলেন, ‘বন্যায় বসতবাড়ির সাথে জমির ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। ঘরটা মেরামত করার জন্য টাকা প্রয়োজন, টাকা পাচ্ছি না। এখন ত্রাণের পরিবর্তে যদি সরকার টাকা ও টিন দেয় তাহলে ঘরটা মেরামত করতে পারব।’
জালালাবাদ, নোয়াগাঁও ও দুর্লভপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, বন্যার পানি কমেছে। পানিতে ঘরবাড়ি নষ্ট হয়ে যাওয়ায় লোকজন সেখানে গিয়ে উঠতে পারছেন না। অনেকে টাকার অভাবে বসতঘর মেরামত করতে পারছেন না।
জালালাবাদ গ্রামের বন্যা কবলিত রমিজ মিয়া জানান, অনেকে ত্রাণ নিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু পানি কমে যাওয়ার পর এর পরিমাণ কমে গেছে। এখন টাকার অভাবে তিনি তাঁর ঘরটি মেরামত করতে পারছেন না।
হবিগঞ্জ থেকে বন্যার পানি বেশিরভাগ নেমে গেলেও প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার এখনও পানিবন্দি। তবে দু’য়েকদিনের মধ্যে এসব লোকজনও বন্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন বলে হবিগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক প্রভাংশু সোম মহান আশা করছেন।
এদিকে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদে খোয়াই নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় ওই এলাকার লোকজন বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। বসতঘর হয়ে পড়েছে ব্যবহারের অনুপযোগী। টিউবওয়েলগুলো নিমজ্জিত থাকায় চলছে পানীয় জলের সংকট। এখন পানি কমলেও গ্রামের স্কুলেই ৫০টি পরিবার বসবাস করছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *