বদরুল আলম ॥ শিল্পকারখানায় পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা না থাকার ফলে ১৬ হাজার শ্রমিকের মলমূত্র সরাসরি সুতাং নদীতে গিয়ে পড়ছে।
এসব পয়োবর্জ্য নদী-নালা-খালে মিশে দূষণ ছড়ানোয় মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন এলাকার লোকজন।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের তদন্ত দল শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ওলিপুরে প্রাণ আরএফএল ও স্কয়ার গ্রুপের শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন শেষে গতকাল এ তথ্য জানায়।
দলটি গত ১৮ ও ১৯ জুন পরিদর্শনে গিয়ে প্রাণ আরএফএলে ১৪ হাজার এবং স্কয়ারের কারখানায় আরও ২ হাজার শ্রমিকের কাজ করার তথ্য পেয়েছে।
নদী রক্ষা কমিশনের চিফ হাইড্রোলজিস্ট মোঃ আখতারুজ্জামান তালুকদার খোয়াইকে জানান, এ দুটি প্রতিষ্ঠান ১৬ হাজার শ্রমিকের জন্য কোন পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা করেনি। ফলে এসব শ্রমিকের পয়োবর্জ্য সরাসরি সুতাং নদীতে গিয়ে পড়ছে। পয়োবর্জ্য নদী-নালা-খালে মিশে দূষণ ছড়ানোয় এলাকার লোকজন মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছেন।
তিনি আরও জানান, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে পয়োবর্জ্য নিষ্কাশন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে বলে এ দুটি প্রতিষ্ঠান তদন্ত দলকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এছাড়া শিল্প কারখানাগুলোতে ইটিপি বর্জ্য পরিশোধনাগার (ইটিপি) ব্যবহার হচ্ছে কি না নিশ্চিত হওয়ার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়।