সিলেটে তরুণী ধর্ষণ মামলার তিন আসামী হবিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার

প্রথম পাতা

বদরুল আলম ॥ সিলেটের এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে তরুণীকে দলবেধে ধর্ষণ মামলায় ৪ আসামী এখন র‌্যাব-পুলিশের হাতে। এর মাঝে তিনজনই আটক হলেন হবিগঞ্জ জেলা থেকে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সময়ে দু’জনকে গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ এবং আরেকজনকে গ্রেফতার করল র‌্যাব।
জানা গেছে, গতকাল রবিবার মাধবপুর উপজেলা থেকে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গোয়েন্দা পুলিশের জালে ধরা পড়েন ধর্ষণ মামলার আসামী অর্জুন লস্কর (২৫)। তার গ্রেফতারের বিষয়ে হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, পুরো অভিযানটি ছিল সিলেট গোয়েন্দা পুলিশের। অর্জুন সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার আটগ্রামের কানু লস্করের ছেলে।
তিনি আরো জানান, ৫ নম্বর এজাহার নামীয় আসামী রবিউল নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জে আত্মগোপনে ছিলেন। গতকাল রাত সাড়ে নয়টায় হবিগঞ্জ গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেফতার করে। রবিউল সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার জগদল ইউনিয়নের বড় নগদী গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তাকে গ্রেফতারের ব্যাপারে বিস্তারিত তথ্য পরে জানানো হবে।
এদিকে, তরুণীকে দলবেঁধে ধর্ষণ মামলার আরেক আসামী শাহ মাহবুবুর রহমান ওরফে রনি (২৫) র‌্যাবের হাতে আটক হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। জেলা শহরের অনন্তপুর এলাকা থেকে গতকাল রবিবার রাত আটটায় র‌্যাবের একটি দল তাকে আটক করে। র‌্যাব-৯ এর মিডিয়া অফিসার এএসপি ওবাইন রাখাইন দৈনিক খোয়াইকে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মাহবুবুরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে সিলেটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
যদিও ধর্ষণে অভিযুক্ত রনির আপন মামা ও চুনারুঘাট উপজেলার মিরাশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আইয়ুব আলী দৈনিক খোয়াইকে জানান, অনন্তপুর এলাকার একজন অ্যাডভোকেটের বাসায় রনি র‌্যাবের হাতে আত্মসমর্পণ করেছে।
এর আগে রবিবার বিকেলে র‌্যাব-৯ কোম্পানী কমান্ডার মেজর আহমেদ নোমান’র নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা রনির গ্রামের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় রনির ঘর ছিল তালাবদ্ধ। পরে তার চাচার ঘরেও গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। র‌্যাব সদস্যরা এ বাড়িতে বেশ কিছু সময় অবস্থান করে আশপাশের লোকজনের কাছ রনি সম্পর্কে অবগত হয়। এ সময় র‌্যাব কমান্ডার মিডিয়ার সাথে কোন কথা বলতে চাননি।
দক্ষিণ সুরমার নবদম্পতি গত শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেট কারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করেন। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করেন। ছাত্রলীগ নেতাদের প্রত্যেকেই ছাত্রাবাসে থাকেন। মামলার পর এ পর্যন্ত মোট চারজন আসামী গ্রেফতার হয়েছেন।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *