স্টাফ রিপোর্টার ॥ ভোটে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রভাব মোকাবিলা করে জনপ্রিয়তার বলে নির্বাচিত হয়েছেন; তারপরও চেয়ারে বসে কয়েক মাসের মাথায় পদটি ছাড়তে হল হবিগঞ্জে এমন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং পৌর মেয়রের সংখ্যা আটজন।
তাঁরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে এবং সরকার পতনের পর উদ্ভুত পরিস্থিতিতেও কর্মস্থলে ছিলেন, মানুষের জন্য কাজ করেছেন, ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধেও যাননি। কিন্তু ক্ষমতার পালাবদলের মধ্যে পড়ে সবার সাথে তাঁদেরও অপসারিত হতে হয়েছে।
এ আটজনের মধ্যে তিনজন পৌর মেয়র ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান পাঁচজন। মেয়ররা হলেন, মাধবপুরে হাবিবুর রহমান মানিক, নবীগঞ্জে ছাবির আহমদ চৌধুরী ও শায়েস্তাগঞ্জে ফরিদ আহমেদ অলি। তিনজনই বিএনপির রাজনীতিতে যুক্ত।
কর্মস্থলে থেকেও বাদ পড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানদের মধ্যে তিনজন বিএনপি নেতা। তারা হলেন, মাধবপুরে সৈয়দ মোঃ শাহজাহান, চুনারুঘাটে সৈয়দ লিয়াকত হাসান ও নবীগঞ্জে মজিবুর রহমান চৌধুরী সেফু। এছাড়া বাহুবলে আনোয়ার হোসাইন সালেহী ও আজমিরীগঞ্জে আলা উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এ জনপ্রতিনিধিদের কয়েকজন বাদ পড়ার বিষয়ে তাঁদের প্রতিক্রিয়া খোয়াইকে জানিয়েছেন।
মাধবপুর পৌরসভার মেয়র ও বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান মানিক খোয়াইকে বলেন, ‘রাষ্ট্রযন্ত্র মেরামত করার জন্য যদি আমি বাদ পড়ে থাকি তাহলে আমার কোন সমস্যা নেই।’
আজমিরীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলা উদ্দিন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা মোকাবিলা করে তিন মাস হল স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়ী হন। তিনিও অপসারিত হওয়ার ব্যাপারটি স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন।
আলা উদ্দিন বলেন, ‘অনেককিছু মোকাবিলা করে শুধুমাত্র জনপ্রিয়তার জোরে নির্বাচিত হয়েছি। হঠাৎ পদ ছাড়তে হল এতে কিছুটা খারাপ লাগা কাজ করলেও সরকারি সিদ্ধান্ত তো মানতেই হবে।’
বাহুবল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসাইন সালেহী খোয়াইকে বলেন, ‘আমার পদ ছেড়ে দিয়ে যদি দেশের ভাল হয় তাহলে এতে আমার কোন আপত্তি নেই। সংস্কারের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ দুর্নীতিমুক্ত হোক।’