হবিগঞ্জে পাঁচ উপজেলার সব্জি পানিতে নিমজ্জিত

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জে ৫০ বিঘার তরমুজসহ জেলার ৫টি উপজেলায় চাষ করা সব্জি জমির বড় একটি অংশ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আবাদ করা জমি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছেন চাষীরা।
জানা গেছে, জেলায় মাধবপুর উপজেলার চৌমুহনী ইউনিয়নে চাষ হওয়া ৩০০ বিঘা তরমুজের জমি থেকে প্রায় ৫০ বিঘা পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ফলে এসব জমিতে তরমুজের উৎপাদন অর্ধেক কমে যাওয়ার শঙ্কা।
সব্জি চাষী বধু মিয়া মাধবপুরের চৌমুহনী মাঠে সম্প্রতি ৬ একর জমিতে তরমুজ, টমেটো, বরবটি, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গাসহ বারোরকম সব্জি চাষ করেন। এর মধ্যে ৪ বিঘা তরমুজের জমি ও ১৫ বিঘা জমির সব্জি সোনাই নদীর পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
প্রায় ৬ লাখ টাকা ক্ষতির কথা উল্লেখ করে বধু মিয়া খোয়াইকে বলেন, ‘সাধারণত এক বিঘা জমি থেকে প্রায় এক লাখ টাকার তরমুজ পাওয়া যায়। কিন্তু জমিতে পানি ওঠে উৎপাদন অর্ধেকে নেমে যেতে পারে।’
তিনি আরও জানান, চৌমুহনী এলাকার কৃষক ফয়েজ মিয়ার ৩ বিঘা, জাহাঙ্গীর মিয়ার ২ বিঘা ও আনোয়ার হোসেনের আরও ৫ বিঘা তরমুজের জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। তরমুজের পাশাপাশি তাদের সব্জি জমিও পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মাধবপুর উপজেলায় এবার ৭৫০ হেক্টর জমিতে শাকসব্জি চাষ হয়েছিল; তার মধ্যে মধ্যে ১৭০ হেক্টর পানিতে তলিয়ে গেছে। চুনারুঘাটে ৫৫৬ হেক্টরের মধ্যে ২৭৬ হেক্টর; বাহুবলে ৩০০ হেক্টরের মধ্যে ১৭ হেক্টর, নবীগঞ্জে চাষ করা ১০ হেক্টরের মধ্যে ৪ হেক্টর ও শায়েস্তাগঞ্জে ১ হেক্টর শাকসব্জি বন্যার পানিতে তলিয়েছে।
তবে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, বানিয়াচং ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কোথাও সব্জি জমি তলিয়ে যাওয়ার খবর পায়নি বলে খোয়াইকে জানিয়েছে।
তাঁদের হিসেবে জেলার ৫টি উপজেলায় ১ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে শাকসব্জি চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৮ হেক্টর জমি বন্যা কবলিত হয়েছে।

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *