স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রাণের নানা ক্যামিকেলে ভেজাল মিশ্রণ ও অল্প লোকবল দিয়ে অধিক কাজ করানোর অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার দুপুরে হবিগঞ্জ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে আন্দোলনরত শ্রমিকরা এ অভিযোগ তুলেন।
প্রাণের প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক বেতন ও ওভারটাইমের পারিশ্রমিক বৃদ্ধি, অসুস্থতার চিকিৎসা পাওয়াসহ ৩০ দফা দাবিতে আন্দোলনে নামে। খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানায়, অন্যান্য শিল্পপ্রতিষ্ঠানে সাড়ে ১২ হাজার টাকায় নতুন শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। ফলে প্রাণের শ্রমিকরা সেগুলোতে যোগ দিচ্ছে। এক বছর ধরে প্রাণ ও আরএফএল কোন শ্রমিক নিয়োগ দেয়নি; ফলে অল্পসংখ্যক শ্রমিককে দিয়ে অধিক পরিশ্রম করানো হয়।
শ্রমিকদের আরও অভিযোগ প্রাণের কারখানায় দক্ষ শ্রমিক না থাকায় বিভিন্ন ক্যামিকেলে ভেজাল মেশানো হয়। কাজ করতে গিয়ে শ্রমিক আহত হলে চিকিৎসার জন্য তাঁর বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হয়। শ্রমিকদের সাথে অমানবিক আচরণ ও বল প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করানো হয়।
শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে, অন্যান্য কারখানার সঙ্গে সমন্বয় করে বেতন বাড়ানো; নতুন নিয়োগকালীন সময়ে সর্বনিম্ন বেতন সাড়ে বারো হাজার টাকা; কোম্পানীর হাসপাতালে গুণগত মানসম্মত চিকিৎসা প্রদান; অসুস্থতায় পূর্ণ চিকিৎসা সেবা কোম্পানী থেকে প্রদান; ওভার টাইমের মজুরী বৃদ্ধি; নাইট ভাতা বৃদ্ধি ও প্রোডাকশন ভাতা বৃদ্ধি করা।
এ বিষয়ে গতকাল রাতে প্রাণের চিফ প্ল্যান্ট কর্মকর্তা দীপক কুমারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খোয়াইকে জানান, শ্রমিকদের প্রায় ৮০ শতাংশ দাবি তাঁরা তাৎক্ষনিক পুরণ করেছেন। বাকী দাবিগুলো সরকারিভাবে গেজেট প্রকাশ করা হলে বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া সন্ধ্যা থেকে বিভিন্ন প্লান্টে শ্রমিকরা কাজে যোগদান করছেন।