সৈয়দ সালিক আহমেদ ॥ হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজে জনবল সংকট রয়েছে। মোট পদের চার ভাগের বিপরীতে মাত্র একভাগ শিক্ষক এবং কর্মচারী থাকায় প্রতিষ্ঠানের সার্বিক শ্রেনী ও প্রশাসনিক কার্যক্রম যথাসময়ে সম্পাদন করা যাচ্ছে না। ফলশ্রুতিতে প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরেও জোড়াতালি দিয়ে চলছে পাঠদান কর্মসূচি।
জানা যায়, প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকের পদ আছে ৪৮টি। এর মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১৩ জন। টেকনিক্যাল অংশে ২৯টি পদের বিপরীতে ৭ জন এবং নন টেকনিক্যাল অংশে ১৯টি পদের বিপরীতে রয়েছেন ৬ জন শিক্ষক। ৩৫টি পদই শূন্য। গড়ে ৭৪ জন শিক্ষার্থীর বিপরীতে আছেন মাত্র ১ জন শিক্ষক।
একই অবস্থা কর্মচারীদের ক্ষেত্রেও। সেখানে ২৬টি পদের বিপরীতে বর্তমানে কর্মরত আছেন ৮ জন। শূন্য রয়েছে ১৮টি পদ।
হবিগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এটি ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেনী পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটিতে বর্তমান শিক্ষার্থী সংখ্যা ৯৫৯। এর মধ্যে ছেলে ৭৫০ জন ও মেয়ে শিক্ষার্থী ২০৯ জন। প্রতিষ্ঠানে সাধারণ পাঠ্যসূচির সঙ্গে কারিগরি বিভিন্ন বিষয়ে পাঠদান করা হয়। এর বাইরেও রয়েছে বিভিন্ন কোর্স। যার মধ্যে রয়েছে, ইলেক্ট্রিক্যাল, ফার্ম মেশিনারী, রিফ্রিজারেশন, ওয়েল্ডিং।
কর্তৃপক্ষ জানান, অধ্যক্ষের পদ থেকেই শূন্যতার শুরু। ইলেক্ট্রিক্যাল কোর্সে ৭ জন শিক্ষকের জায়গায় ১ জন শিক্ষক আছেন। ফার্ম মেশিনারী কোর্সে ৮ জন শিক্ষকের জায়গায় ২ জন আছেন। রিফ্রিজারেশন কোর্সে ৭ জন শিক্ষকের জায়গায় ২জন এবং ওয়েল্ডিং কোর্সে ৭ জন শিক্ষকের জায়গায় রয়েছেন ২জন শিক্ষক।
এছাড়া বাংলায় ২ জনের জায়গায় ১, ইংরেজি বিষয়ে ৩ জনের জায়গায় ১, পদার্থ বিজ্ঞানে ৩ জনের জায়গায় ১, রসায়নে ৩ জনের জায়গায় ১, গণিত ও বিজ্ঞানে ৩ জনের জায়গায় ১ জন করে, ধর্ম শিক্ষায় ১ জনের জায়গায় ১। প্রতিষ্ঠানে আইসিটির জন্য নেই আলাদা কোন শিক্ষক। সাধারণ বিষয়ের শিক্ষকরাই আইসিটি পরিচালনা করে থাকেন।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিশ^জিৎ দাশ খোয়াইকে জানান, শিক্ষক স্বল্পতার মাঝেও আমরা পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৮৬.৬০। এইচএসসি পরীক্ষায় পাশের হার শতকরা ৭১.৮৪।
তিনি বলেন, সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর ৫০ শতাংশ কারিগরি দক্ষতায় উন্নয়নের লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিটি শিক্ষার্থীকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।