চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলায় আওয়ামী যুবলীগের ১০টি ইউনিয়ন, পৌরসভা ও আঞ্চলিক কমিটির কাউন্সিলকে ঘিরে সরর হয়ে উঠছে গ্রামগঞ্জ। ইতিমধ্যে এসব ইউনিটের কাউন্সিলে সভাপতি, সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ৫ শতাধিক নেতাকর্মী ফরম জমা দিয়েছেন। ইউনিয়নের এসব নেতা এখন দৌড়াচ্ছেন জেলা ও উপজেলা নেতাদের কাছে। অনেকে হাইব্রিড নেতা ও বহিরাগতরা ও ফরম জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। তারাও যুবলীগের আগামী দিনের নেতা হতে চান। তবে যুবলীগে আওয়ামী পরিবারের বাইরে কাউকে এবং বিগত দিনে যারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন না তাদের কাউকে দলীয় পদ দেওয়া হবে না বলে যুবলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে। এদিকে যুবলীগের এ কাউন্সিলকে ঘিরে সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও খোজ খবর নিচ্ছে। দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনার বাইরে হাইব্রিড কোন নেতা নেতৃত্বে আসছেন কিনা তাও তারা খোজ খবর নিচ্ছেন।
চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন, একটি পৌরসভা ও শায়েস্তাগঞ্জ আঞ্চলিক কমিটি গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী যুবলীগ কাজ শুরু করে করোনার আগে থেকেই। করোনা কিছু স্বাভাবিক ও জীবণযাত্রা স্বাভাবিক হওয়ার কারণে মাঠের রাজনীতি শুরু হয়। এ অবস্থায় কেন্দ্রের নির্দেশে যুবলীগ তাদের ইউনিটগুলোর কাউন্সিল কার্যক্রম শুরু করে। শুরু হয় বিভিন্ন ইউনিট থেকে ফরম জমা নেওয়া। ইতোমধ্যে ১২টি ইউনিট থেকে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ার দৌড়ে ৫ শতাধিক যুবলীগকর্মী ফরম জমা দিয়েছেন। দলীয় সিদ্ধান্তে এবার জেলা ও উপজেলার সমন্বয়ে ১৬ নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ কাউন্সিল গঠনের। তাদের মাধ্যমেই চলছে এসব কার্যক্রম। তবে নেতা নির্বাচন ভোটে হবে না সিলেকশনে হবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে যুবলীগের একটি দায়িত্বশীল সুত্র জানিয়েছে জেলার সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত। তারা যে সিদ্ধান্ত দিবে সে ভাবেই কমিটি গঠন করা হবে।
আওয়ামী যুবলীগের এ কাউন্সিলকে ঘিরে পৌরশহরসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার এখন সরগরম। নেতাকর্মীদের ভীড় জমেছে উপজেলা সদরে। চলছে লবিং ও গ্রুপিংসহ নেতা হওয়ার দৌড়। এ দৌড়ে যারা এগিয়ে যাবেন তারাই হবেন আগামী দিনের ইউনিয়ন ও পৌরসভার কান্ডারী। পৌরসভায় নেতা হওয়ার দৌড়ে বর্তমান আহবায়ক নাজমুল হক বকুল ও যুগ্ন আহবায়ক লুবন, আঃ রহমানসহ একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। তেমনি ইউনিয়ন কাউন্সিলেও রয়েছেন একাধিক প্রার্থী। এসব নিয়েই এখন চলছে প্রার্থী যাচাই বাছাই।
চুনারুঘাট উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি লুৎফুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন, কেন্দ্রের কড়া নির্দেশ রয়েছে, দলে কাউকে পদে বসাতে হলে যাচাই বাছাই করে যুবলীগে পদ দিতে হবে। আওয়ামী পরিবারের বাইরে কাউকে দলের পদ দেওয়া হবে না। আমরা এসব বিষয় খেয়াল রেখেই দলীয় কাউন্সিলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি বলেন, ১২টি ইউনিট থেকে ৪টি পদে ৫ শ’র বেশি প্রার্থী সিভি জমা দিয়েছেন। এগুলো জেলা কমিটির নির্ধারিক নেতৃবৃন্দ যাচাই বাছাই করছেন। তাদের সিদ্ধান্তের মাধ্যমেই কাউন্সিলে কমিটি গঠন করা হবে। কেন্দ্রের নির্দেশ রয়েছে ২০০৯ সালের আগে যারা আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিল, শুধু তাদেরকেই পদে রাখা যাবে। এছাড়া দলে কোন দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, ক্যাসিনোবাজকে কোন ভাবেই পদ দেওয়া যাবে না। এসব কিছুর বিচার বিশ্লেষন করেই আওয়ামী যুবলীগের কাউন্সিতে নেতা নির্বাচন করা হবে বলে জানান তিনি।