স্টাফ রিপোর্টার ॥ পেঁয়াজের পর এবার চালের মূল্যবৃদ্ধির চাপে পড়েছে হবিগঞ্জের সাধারণ মানুষ। বাজারে সব ধরনের চালের দাম কেজিতে গড়ে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। হবিগঞ্জের বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজারে কোনো যৌক্তিক কারণ ছাড়া হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়ায় চাল কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, বাজারে হঠাৎ ধানের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে চালের।
গতকাল হবিগঞ্জের বিভিন্ন খুচরা বাজারে মোটা চাল গুটি ও স্বর্ণা ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সপ্তাহের শুরুতেও এসব চালের কেজি ৪০ থেকে ৪২ টাকা ছিল। মাঝারি মানের লতা, পাইজাম ও ব্রি-২৮ খুচরায় ৪৮-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫-৪৬ টাকায়। পাইকাররা বলছেন বাজারে বাড়তি দাম হওয়ায় বাড়তি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক খুচরা চাল ব্যবসায়ী জানান, এক সপ্তাহ ধরে চালের দাম বাড়তি। মিনিকেট ২৫ কেজির বস্তা তিনি কিনেছেন এক হাজার ৪০০ টাকায়। কিছু দিন আগেও একই চাল তিনি এক হাজার ৩৫০ টাকায় বিক্রি করেছেন। তিনি বলেন, মিনিকেট চালের দাম বাড়লে বিক্রেতারা অন্যান্য চালের দাম বাড়িয়ে দেন। গত কয়েকদিনে সবাই কেজিতে চালের দাম ৩-৫ টাকা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ৫০ টাকার নিচে বাজারে এখন কোনো চাল নেই।
একাধিক চাল ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, চালের দাম বাড়ার কারণ মৌসুম শেষের দিকে চলে এসেছে। তাছাড়া এবার বছরজুড়েই প্রাকৃতিক দুর্যোগ রয়েছে। এখনো প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। যে কারণে বাজারে ধানের সরবরাহ কম, দামও বেশি। ধানের দাম বেশি হলে চালের দাম বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
বড়বহুলা গ্রামের আবরু মিয়া হেলাল বলেন, বাজারে চালের কোনো ঘাটতি নেই। দেশে চাল উৎপাদন বেড়েছে। হঠাৎ চালের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা বাড়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। কৃৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়াচ্ছে অসাধু সিন্ডিকেট।
শায়েস্তানগরের বাসিন্দা তামান্না চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যহত। এখন কারণ ছাড়া চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মধ্যবিত্তরা বিপাকে পড়ছে। এ পরিস্থিতিতে বাজার নিয়ন্ত্রণে অভিযান জোরদার করতে তিনি জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।