স্টাফ রিপোর্টার ॥ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে স্বাধীন করে যখন সত্যিকারের সোনার বাংলা গড়ায় মনোনিবেশ করেন তখন দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রে তাকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়। ৭১ এর পরাজিত শক্তিরা যখন দেশ থেকে আওয়ামী লীগের নাম নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টায় লিপ্ত, তখন বাঙ্গালী জাতির আশার বাতিঘর হয়ে বিদেশ থেকে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নিরলস পরিশ্রমে আজ আওয়ামী লীগ সুসংগঠিত। তার নেতৃত্বে আজ বাংলাদেশ সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের মাধ্যমে উন্নত দেশ হওয়ার স্বপ্ন যাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। আমাকে তিনি তিনবার হবিগঞ্জে নৌকা উপহার দেয়ায় জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়ে অবহেলিত এই জেলাকে আলোকিত জেলায় রুপান্তর করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। হবিগঞ্জের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি থাকায় এটি সম্ভব হয়েছে। ষড়যন্ত্রকারীরা বার বার চেষ্টা করেছে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার জন্য। কিন্তু আল্লাহর রহমতে তিনি বেচে আছেন বলেই বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে এগিয়ে যাচ্ছে। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এ ব্যাপারে সকল নেতাকর্মীকে সজাগ থাকতে হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় স্থানীয় টাউন হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথাগুলো বলেন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি। তিনি আরও বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর আদর্শকে বুকে ধারন করে রাজনীতি করে আসছি। এই আদর্শকেই বুকে লালন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজীবন কাজ করে যেতে চাই।
হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সাবেক সদস্য শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক চৌধুরী, সাবেক সহ-সভাপতি শেখ সামছুল হক, মোঃ সজিব আলী, ডা. অসিত রঞ্জন দাস, সাবেক যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, জেলা যুবলীগ সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, হবিগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলাদ্রী শেখর পুরকায়স্ত টিটু, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামিম, সাবেক সদস্য অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান মিজান প্রমুখ।
আলোচনা শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা হয়। পরে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। বায়তুল আমান জামে মসজিদের খতিব মুফতি আলমগীর হোসেন সাইফী দোয়া পরিচালনা করেন।