মোঃ মামুন চৌধুরী ॥ করোনা সংক্রমণের কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে হবিগঞ্জ জেলায় ৬৬১ টি মন্ডপে শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আগামী ২২ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্যদিয়ে জেলার সব মন্ডপে পাঁচ দিনব্যাপি পূজা উদযাপন শুরু হবে। ২৬ অক্টোবর দশমীতে দেবী বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে শারদীয় উৎসব। পূজাকে কেন্দ্র করে সারাদেশের মতো জেলার সকল পূজারি ও ভক্তের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। এ বছর বৈশ্বিক মহামারি করোনা পরিস্থিতির কারণে উৎসবের আমেজ অনেকটা কম। তবে পূজারিদের বিশ্বাস অসুর বিনাশী দেবী দুর্গার আগমনে অশুভ শক্তির বিনাশ সাধন হয়ে শান্তি বিরাজ করবে মর্ত্য।ে
হবিগঞ্জ পৌর পূজা উদযাপন পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক কৌশিক আচার্যী পায়েল জানান, জেলায় এবার পূজা মন্ডপের সংখ্যা ৬৬১টি। এর মাঝে ১৭টি ব্যক্তিগত এবং বাকীগুলো সার্বজনীন। এছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় এবং পৌরসভার মধ্যে সদর উপজেলায় ৪০, হবিগঞ্জ পৌরসভা ৩৭, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা ৮ ও উপজেলা ১২, আজমিরীগঞ্জ পৌরসভা ৮ ও উপজেলা ২৭, মাধবপুর পৌরসভা ১৩ ও উপজেলা ১০৭, চুনারুঘাট পৌরসভা ৯ ও উপজেলা ৭৪, নবীগঞ্জ পৌরসভা ৬ ও উপজেলা ৮৪, লাখাই উপজেলা ৭১, বাহুবল উপজেলা ৫০ এবং বানিয়াচং উপজেলার ১১৫টি মন্ডপে সাড়ম্বরে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরো জানান, প্রতিটি মন্ডপে প্রতিমা তৈরির কাজ শেষের পথে। তারপরও বাকি কাজ শেষ করার জন্য দিনরাত কাজ করছেন প্রতিমা শিল্পীরা। মন্ডপ সাজসজ্জার কাজ শেষ করলেই উৎসবের আমেজে মেতে উঠবেন সবাই। পূজাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বী সব পূজারি ও ভক্তের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা কাজ করছে। সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে সবাই পূজার আনন্দ ভাগাভাগি করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নবীগঞ্জ উপজেলার সাধারণ সম্পাদক উত্তম কুমার পাল হিমেল জানান, প্রত্যেক মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিচ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। ইতিমধ্যে জেলা পুলিশ প্রশাসন শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান বলেন, শারদীয় দূর্গাপুজা সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে পালনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা বলেন, প্রতিটি মন্ডপে নিরাপত্তায় পুলিশ ও আনসার সদস্যরা মোতায়েন থাকবে। নিরাপত্তায় কোনো কমতি থাকবে না।