আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ আজমিরীগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসানের বিরুদ্ধে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং মারধরে উদ্যত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পরে সভায় উপস্থিত অন্য সদস্যরা তাকে শান্ত করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রাণী সরকার বিষয়টি সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারসহ উর্ধ্বতন মহলকে অবগত করেছেন। তবে উপজেলা চেয়ারম্যানের দাবি, তিনি গালাগাল করেননি।
সভায় উপস্থিত সদস্যদের সাথে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার আজমিরীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কক্ষে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সভা চলছিল। সভার এক পর্যায়ে নারীর অধিকার আদায়ের বিষয়ে বক্তব্য দিচ্ছিলেন উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রাণী সরকার। তখন বক্তব্য অপ্রাসঙ্গিক উল্লেখ করে উপজেলা চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানকে বাঁধা দেন। তারপরও বক্তব্য দেয়ায় তিনি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের সাথে দুর্ব্যবহার করেন। কিছুক্ষণ পর মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান কেঁদে উপজেলা পরিষদ থেকে বেরিয়ে যান।
ভাইস চেয়ারম্যান সীমা রানী সরকার জানান, আমি বক্তব্য দেয়ার সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে বাঁধা দেন। এক পর্যায়ে আমার সাথে দুর্ব্যবহার করেন এবং সভাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। তিনি চেয়ার থেকে উঠে এসে আমার উপর হাত তুলারও চেষ্টা করেন। আমি বিষয়টি সিলেট বিভাগীয় কমিশনারকে জানিয়েছি।
উপজেলা প্রশাসনের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সভা চলাকালে দু’জনের মধ্যেই কিছু বাক্য বিনিময় হয়েছে। তবে অল্পের মধ্যেই ঘটনাটি শেষ করা হয়। পরে ঘটনাটি নিষ্পত্তির জন্য উপজেলা চেয়ারম্যান সম্মত হলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান অসম্মত ছিলেন। পরে তিনি উপজেলা পরিষদ থেকে বেরিয়ে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মর্তুজা হাসান বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সরকারের চেতনাবিরোধী বক্তব্য দিচ্ছিলেন। সেজন্য আমি তাকে বাঁধা দিয়েছি, গালাগাল করিনি। আমার প্রতিপক্ষের প্ররোচনায় তিনি তিলকে তেল বানানোর চেষ্টা করছেন।