নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার সাতাইহাল এলাকায় বাসচাপায় নিহত ৮ জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। হৃদয় বিদারক পরিবেশে তাদের জানাজা সম্পন্ন হয়। নিহতদের পরিবারগুলোর প্রতি সহানুভূতি জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন ।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সাতাইহাল ৩ মৌজা জামে মসজিদের সামনে অন্তর মিয়া ও লিটন মিয়ার, ১১টায় সাতাইহালের কাজীপাড়া গ্রামে লিজা আক্তারের, দেবপাড়া লতিবপুর মাঠে কিতাব আলী ও বাদ জোহর সাতাইহাল রয়েল বেঙ্গল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে তাজুল ইসলাম সোহেলের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে দুর্ঘটনার দিন সোমবার রাতেই মুড়াউড়া গ্রামের ছামিরুন, তার মেয়ে মারিয়া ও মারিয়ার চাচী হালিমার নামাজে জানাজা শেষে তাদেরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল।
নিহতদের সকলকেই এলাকার কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। দাফন ও জানাজায় জনপ্রতিনিধি এবং পুলিশসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। তখন এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। জানাজায় অংশগ্রহণকারী মানুষদের চোখের পানি মুছতে মুছতে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী মুহিত মিয়া কাঁদতে কাঁদতে বলেন, হঠাৎ যে কি হল, চোখের সামনে অনেকগুলো জীবন শেষ হয়ে গেল। অথচ আমাদের করার কিছু ছিল না। এ দৃশ্য কখনও ভুলতে পারবো না।
গজনাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ মাহবুবুর রহমান নুরু বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত মর্মান্তিক। এ পরিবারগুলোতে আজীবনের জন্য কান্না নেমে এসেছে। এলাকার সবাই এতে মর্মাহত।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুমাইয়া মমিন এ ঘটনায় নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও তাদের পরিবারবর্গের প্রতি সহানুভুতি প্রকাশ করেছেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাদের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে সিলেটমুখী বিআরটিসি পরিবহনের একটি বাস যাত্রীবাহী দুইটি অটোরিকশাকে চাপা দিয়ে রাস্তার পাশের খাদে পড়ে যায়। এতে দুর্ঘটনায় নবীগঞ্জ উপজেলার মুড়াউড়া গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী ছমিরুন বেগম (৩০), তার মেয়ে মারিয়া বেগম (২), মারিয়ার চাচী ও আবু শ্যামার মেয়ে হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের মৃত ছুরত আলীর ছেলে লিটন মিয়া (১৮), একই গ্রামের আফতাব মিয়ার ছেলে কিতাব আলী (২৫), লিজা আক্তার (১৯), নূরুল ইসলামের ছেলে অন্তর মিয়া (১৭) ও তাজুল ইসলাম সোহেল (২৫) মারা যান।