স্টাফ রিপোর্টার ॥ আজ ১৫ই আগস্ট। ১৯৭৫ সালের এই দিনে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্ব-পরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। তবে দেশের বাইরে থাকায় সেদিন প্রাণে বেঁচে যান বঙ্গবন্ধুর দুই মেয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং শেখ রেহানা।
বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার দিনটি গত ১৬ বছর ধরে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছিল বাংলাদেশে। গণ আন্দোলনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত এবং দলের সভাপতি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর দলটি এখন কী করবে, সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের ঘোষণা আসলেও সদ্য ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ দিবসটি পালনের অনুমতি চায়। কি সিদ্ধান্ত এসেছে গতকাল রাত পর্যন্ত তা জানা যায়নি। অন্যদিকে শোক দিবস পালনের জন্য শেখ হাসিনা দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিলেও কোনও কর্মসূচি আছে কিনা তা জানা যায়নি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে হবিগঞ্জ জেলার কোথাও আনুষ্ঠানিকভাবে শোক দিবস পালনের প্রস্তুতির নিতে দেখা যায়নি। এদিকেÑ এখনও নিরাপদ আশ্রয়ে আছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের শীর্ষ নেতারা।
গতকাল বুধবার হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল এক নেতার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি খোয়াইকে বলেন, ‘এ ব্যাপারে কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশনা আসেনি। স্থানীয় শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও আমার যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক কোন সিদ্ধান্ত পাইনি। এর বেশি কিছু বলতে পারছি না।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টে বিপথগামী কিছু সেনাসদস্যের হাতে নিহত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, তাঁর সহধর্মিণী বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন ছেলে শেখ কামাল, শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেল, বঙ্গবন্ধুর দুই পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, ছোট ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেরনিয়াবাতসহ বেড়াতে আসা কয়েকজন নিকটাত্মীয়। বঙ্গবন্ধুর জীবন বাঁচাতে ছুটে গিয়ে ঘাতকদের হাতে প্রাণ হারান তার সামরিক সচিব জামিলউদ্দিন আহমেদসহ কয়েকজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও কর্মচারী।