স্টাফ রিপোর্টার ॥ বানিয়াচং উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জেরে স্বামীকে না পেয়ে মিনারা বেগম (৪৫) নামে তিন সন্তানের জননীকে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ। তিনি উপজেলার পুকড়া ইউনিয়নে দৌলতপুর গ্রামের হাবিবুর রহমান কনাই মিয়ার স্ত্রী। গত রবিবার রাত ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। গতকাল বুধবার বিকালে কনাই মিয়া তাঁর স্ত্রীর মরদেহ নিয়ে বানিয়াচং সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আসেন।
কনাই মিয়া জানান, একই গ্রামের বাসিন্দা কয়েকজনের সাথে তার ছোট ভাইয়ের পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধ ছিল। এর জের ধরে গত রবিবার সকালে গ্রামের বাজারের একটি দোকানে কনাই মিয়াকে আটক করে রাখে প্রতিপক্ষ। পরে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তাঁকে উদ্ধার করেন। তবে প্রতিপক্ষ তাঁকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যার হুমকি দেয়।
রবিবার রাতে ঘুমানোর সময় মিনারা বেগম কৌশলে তাঁর স্বামীকে অন্য কক্ষে লুকিয়ে রাখেন। রাত একটার দিকে ৫/৭ জন লোক দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে কনাই মিয়াকে না পেয়ে স্ত্রী মিনারাকে ছুরিকাঘাত করে। এরপর তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেটে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরদিন সোমবার রাত ৩টার দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিনারা মারা যান।
এদিকে, নারী পুলিশ সদস্য না পাওয়ায় একদিন পর গত মঙ্গলবার ময়না তদন্ত শেষ করে গতকাল মরদেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্পে আসেন কনাই মিয়া। পুলিশ না থাকায় তিনি সেনাবাহিনীর নিকট অভিযোগ দিয়েছেন।
বানিয়াচং ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা সেনাবাহিনীর মেজর মাহি আহমেদ চৌধুরী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইতোমধ্যে পুলিশ থানায় আসা শুরু করেছে। থানায় মামলা দায়ের করলে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পুলিশকে সহায়তা করা হবে।’