হবিগঞ্জে সাত কেজি চালের দামে এক কেজি মরিচ

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে গত দুইদিন ধরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি চার থেকে সাড়ে চারশ’ টাকায়। দুইদিন আগেও কাঁচামরিচ ৩০০ টাকা কেজি ছিল। অল্প সময়ের ব্যবধানে এত দাম বাড়ায় ক্রেতারা বিপাকে পড়েছেন।
গতকাল রবিবার বিকালে হবিগঞ্জ শহরের চৌধুরীবাজারে গিয়ে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের খুচরা দাম সাড়ে ৪০০ টাকা কেজি। সকালে বগলা বাজার এবং শায়েস্তাগনগর বাজারেও একই দামে বিক্রি হয়েছে।
এছাড়া নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি বাজার ও চুনারুঘাট পৌরসভার সদর বাজারে ৪০০ টাকা দরে কাঁচামরিচ বিক্রি হতে দেখা গেছে।
খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবরাহ কম থাকায় দাম বেড়েছে। অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সামনে রেখে ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম বাড়িয়েছেন।
চৌধুরীবাজার কাঁচা বাজারের এক খুচরা বিক্রেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে খোয়াইকে বলেন, ‘সকালে আড়তে এসে মরিচ পাইনি। পাইকারী ব্যবসায়ীরা বলেছেন, কাঁচা মরিচের ট্রাক আসেনি।’
আউশকান্দি বাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ‘সকালে বাজারে গিয়ে চাহিদামত মরিচ পাইনি। বেশি দামে কিনে বিক্রি করতে হচ্ছে।
দুপুরে চৌধুরীবাজারে আসা তামান্না চৌধুরী খোয়াইকে বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা অধিক লাভের আশায় একদিনের ব্যবধানে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ২২৫ টাকায় আধাকেজি কাঁচা মরিচ কিনলাম।’ তিনি বলেন, ‘সরবরাহ কম নয়; অস্থিতিশীল পরিস্থিতিকে পুঁজি করে দাম বাড়ানো হয়েছে।’
নবীগঞ্জের আউশকান্দি বাজারে আসা দৌলতপুর গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল খালিক ও কাজল মিয়া জানান, তাঁরা নিয়মিত আধাকেজি করে কাঁচামরিচ ক্রয় করেন। কিন্তু গতকাল ৪০০ টাকা কেজি হওয়ায় তারা ১০০ গ্রাম করে মরিচ কিনে বাড়ি ফিরছেন।
চুনারুঘাটে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদরের বাজারে গতকাল ও এর আগেরদিন সাড়ে ৪০০ টাকা কেজিতে কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে।
কাঁচামরিচের দাম বেশি হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করে ব্যবসায়ী হবিগঞ্জের ফরহাদ আহমেদ বলেন, ‘বাজার থেকে ৬০ টাকা কেজি চাল ক্রয় করি। এক কেজি কাঁচা মরিচ ক্রয় করতে হলে সাড়ে সাত কেজি চালের দাম দিতে হচ্ছে। বাজারে এই অরাজকতা বন্ধে প্রশাসনের নজরদারী জরুরী।’

শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *